- Home
- West Bengal
- West Bengal News
- Weather: কেন এই অসহ্য গরম? কেন নেই বৃষ্টি বা কালবৈশাখী? কারণ জানাল হাওয়া অফিস
Weather: কেন এই অসহ্য গরম? কেন নেই বৃষ্টি বা কালবৈশাখী? কারণ জানাল হাওয়া অফিস
- FB
- TW
- Linkdin
রেকর্ড তাপমাত্রা কলকাতায়
ক্রমশই চড়ছে তাপমাত্রার পারদ। রেকর্ড তাপমাত্রা কলকাতায়। কলকাতার তাপমাত্রা গত কয়েক দিন ধরেই টেক্কা দিচ্ছে মরুশহর রাজস্থানকে।
কলকাতার তাপমাত্রা
আলিপুর হাওয়া অফিস জানিয়েছে এদিন কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৯ ডিগ্রি। আগামিকাল তাপমাত্রার পারদ আরও চড়বে। সঙ্গে আগামী ৬ দিনের জন্য তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
৪০ ডিগ্রির ওপর তাপমাত্রা
কলকাতার পাশাপাশি পানাগড়, বাঁকুড়া, মেদিনীপুরে অধিকাংশ সময়ই তাপমাত্রার পারদ ৪২ ডিগ্রির মাত্রা পার করেছে।
বৃষ্টির অপেক্ষা
কলকাতার পাশাপাশি গোটা দক্ষিণবঙ্গে টানা দুই সপ্তাহ ধরেই নেই বৃষ্টি। চাকতের মত অবস্থা। উত্তরবঙ্গে মাঝেমধ্যে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হচ্ছে। কিন্তু তাতে দক্ষিণবঙ্গের তাপমাত্রা বিশেষ কোনও হেরফের নেই।
তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণ
আলিপুর হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী এই রাজ্যের তাপমাত্রা বৃদ্ধির মূল কারণই হল পশ্চিমা শুষ্ক বায়ু।
সাহারার বাতাস রাজ্যে
আলিপুর হাওয়া অফিস জানিয়েছে, সাহারা মরুভূমি থেকে আসা শুষ্ক গরম বায়ুর কারণে রাজ্যের বিশেষ করে দক্ষিণবঙ্গের তাপমাত্রা হুহু করে বাড়ছে। তৈরি হয়েছে অস্বস্তিকর আবহাওয়া।
সারাহার বাতাসের আগমণ
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, সুদূর পশ্চিম থেকে আসা পূর্বের দিকে যত এগিয়ে যাচ্ছে ততই গরম হচ্ছে। কারণ এই বাসাত আসছে মধ্যপ্রদেস, ঝাড়খণ্ড বিহারের মত গরম এলাকার ওপর দিয়ে। তাই বাতাস আরও গরম হচ্ছে।
রাজস্থানে তাপমাত্রা কম
রাজস্থানে সক্রিয় রয়েছে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। সেই কারণে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হচ্ছে। আর তাতেই একটানা অস্বস্তিকর গরম নেই সেখানে। তাপমাত্রা মাঝেমধ্যেই কমে যাচ্ছে।
বঙ্গোপসাগরে বিপরীত ঘূর্ণাবর্ত নেই
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, পশ্চিমী ঝঞ্ঝা সক্রিয় থাকলেও বঙ্গোপসাগরে বিপরীত ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হচ্ছে না। বিপরীত ঘূর্ণাবর্তই আর্দ্রতা আনে। তৈরি হয় কালবৈশাখী ঝড়। বঙ্গোপসাগরে বিপরীত ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হলেও সেটি চলে যাচ্ছে বাংলাদেশে। তাই এই রাজ্যে কালবৈশাখী ঝড় অধরা থেকে যাচ্ছে।
অসহ্য গরমের কারণ
হাওয়া অফিসের মতে প্রখর রোদ, বৃষ্টিহীনতার আর গরম শুষ্ক বায়ুর কারণেই মাটি গরম হয়ে যাচ্ছে। যার কারণে দিনের পাশাপাশি রাতও হয়ে যাচ্ছে অসহ্যকর। তাতে স্বস্তি নেই। দিনে গরম থাকলেও রাতেও স্বস্তি পাওয়া যাচ্ছে না। মাঝে মধ্যে দুইএক দিন রাতে কিছুটা স্বস্তির কারণই সেদিনগুলি উপকূলবর্তী এলাকার আর্দ্রতা বৃদ্ধি। আর্দ্রতা বাড়ার কারণে শুষ্কবায়ুকে ঠেলে উত্তর দিকে সরিয়ে দেয়।