সংক্ষিপ্ত
রাজ্য সরকারের আবেদনে সাড়া দিয়ে নবান্ন পৌঁছাল জুনিয়র ডাক্তারদের ৩০ জনের প্রতিনিধির একটি দল। নিজেদের ভাড়া করা বাসেই নবান্ন পৌঁছেছে। আন্দোলনকারীরা জানিয়েছে রাজ্য সরকার তাদের যাওয়ার কোনও ব্যবস্থা করেনি। যদিও নবান্নে নির্ধারিত সময়ের প্রায় ৩৫ মিনিট আগেই পৌঁছে গিয়েছিল। কিন্তু তাদের ভিতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। জুনিয়র ডাক্তাররা ৫টা ২৫ মিনিটে পৌঁছে দিয়েছিল নবান্নে।
নবান্ন থেকে এদিন বৈঠকের প্রস্তাব দিয়ে চিঠি লিখেছিলেন স্বাস্থ্য সচিব মনোজ পন্থ। সেখানে বলা হয়েছিল তাদের ১৫ জন প্রতিনিধি আসতে পারেন। কিন্তু জুনিয়র ডাক্তাররা পাল্টা জানিয়েছিল দিয়েছিল তাদের তরফে ৩০ জনের প্রতিনিধি দল যাবে। উত্তরের অপেক্ষা না করেই নবান্নে পৌঁছে গিয়েছিল ৩০ জনের প্রতিনিধি। সেখানে গিয়ে তারা জানতে চেয়েছিল 'সকলেই কি ঢুকতে পারবে?' নবান্নর তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয় সকলকেই ঢোকার অনুমতি দেওয়া হল। জুনিয়র ডাক্তাররা 'জাস্টিস ফর আরজি কর ' স্লোগান দিতে দিতে নবান্নে প্রবেশ করে। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের চার প্রতিনিধি রয়েছে। আর রয়েছে রাজ্যের বাকি ২৫টি মেডিক্যাল কলেজের একজন করে প্রতিনিধি।
কিন্তু রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনাকারীদের পথ সমৃণ নয়। কারণ নবান্নে গিয়েও জুনিয়র ডাক্তাররা গোটা বৈঠকের লাইভ স্ট্রিমিং নিয়ে অনড় ছিলে। তারা জানিয়ে দেয় বৈঠক যদিসরাসরি সম্প্রচার করা না হয় তাহলে তারা নবান্ন সভাঘরে প্রবেশই করবে না।
পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রথমে তাদের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। পরবর্তীকালে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলতে নীচে নেমে আসেন স্বাস্থ্য সচিব নন্দিনী চক্রবর্তী, রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার, এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতিম সককার, এডিজি আইনশৃঙ্খলা মনোজ বর্মা। কিন্তু এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত প্রতিনিধিরা গোটা বৌঠকের সরাসরি সম্প্রচারের দাবিতে অনড় রয়েছে। যদিও মুখ্য সচিব জানিয়েছেন, ভিডিও রেকর্ড করা যাবে বৈঠকের। কিন্তু সরাসরি সম্প্রচার নয়। নবান্ন সভাঘরের সমানে নিজের দাবিতে অনড় হয়ে অবস্থান জুনিয়র ডাক্তারদের।
অন্যদিকে নবান্ন সভাঘরে জুনিয়র ডাক্তারদের জন্য অপেক্ষা করে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। নবান্ন থেকে জুনিয়র ডাক্তারদের বৈঠকের বিষয় নিয়ে তিনি গত তিন দিন ধরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন।