সংক্ষিপ্ত

সোমবার পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালে দলীয় সভা করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিনই কংগ্রেস বিধায়কের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন অভিষেক।

সাগরদিঘিতে হারের মাত্র তিন মাসের মাথায়ই ফের ক্ষমতা ফিরল ঘাসফুল শিবিরের হাতে। শেষ পর্যন্ত তৃণমূলেই যোগ দিলেন সাগরদিঘির কংগ্রেস বিধায়ক বাইরন বিশ্বাস। সোমবার পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালে দলীয় সভা করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিনই কংগ্রেস বিধায়কের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন অভিষেক। উল্লেখ্য বিধানসভায় এই মুহূর্তে কংগ্রেসের এক মাত্র বিধায়ক ছিলেন বাইরন। ফলে তিনি দলত্যাগ আইনের আওতায় পড়ছেন না।

প্রসঙ্গত, সাগরদিঘি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছিল তৃণমূলের। কংগ্রেসের কাছে প্রায় ২৩ হাজার ভোটের ব্যবধানে হেরেহে তৃণমূল। গণনার আগে থেকেই আত্মবিশ্বাসী হলেও, এই বিপুল মার্জিনে ভোট পেয়ে আল্পুত ছিলেন প্রার্থী বাইরন বিশ্বাসও। সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেছিলেন,'বণ্যেশ্বরে ৫১৫ ভোটে এগিয়ে। আর মণিগ্রাম অঞ্চলেও এগিয়ে আমরা। যেখানে খারাপ ফল হবে ভেবেছিলাম। সেখানেই যখন এগিয়ে তখন আর চিন্তা কীসের? জিতব জানতাম, কিন্তু মানুষ এতটা ভালোবাসবে ভাবিনি।' উল্লেখ্য, ১৯৫০ সালের গো়ড়ার দিকে এই কেন্দ্র কংগ্রেসের শক্তঘাঁটি ছিল। ১৯৮৭ সাল থেকে সিপিআই(এম) সাগরদিঘি কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করে। পরিবর্তনের হাওয়া মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘিতেই প্রথম লেগেছিল ২০১১ সালে। সেই সময় থেকেই এটি তৃণমূলের খাসতালুক। নির্বাচন কমিশন অবাধ আর সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য ৩০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করেছিল