সংক্ষিপ্ত
সন্দেশখালির ঘটনা সাজানো। মিথ্যা অভিযোগ করতে বাধ্য করা হয়েছিল। দাবি করেছেন এক মহিলা। মামলা তুলে নেওয়ার কথাও বলেন।
সন্দেশখালি ইস্যুতে আবারও উত্তপ্ত হতে শুরু করেছে রাজ্য রাজনীতি। সম্প্রতি সন্দেশখালির স্টিংঅপারেশনের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যেখানে বিজেপির নেতা দাবি করেছেন গোটা ঘটনাই সাজানো। যদিও তিনি নিজের পরে জানিয়েছেন গোটা ঘটনাই ভুয়ো। কিন্তু সেই স্টিং আপারেশনের ভিডিওর সুরেই এবার সুর মেলালেন সন্দেশখালির এক মহিলা। তিনি সম্প্রতি দাবি করেছেন, সন্দেশখালিতে জোর করে মিথ্যা অভিযোগ করতে বাধ্য করা হয়েছিল। পাশাপাশি মহিলা মামলা তুলে নিতে চান বলেও জানিয়েছেন।
মহিলার দাবি তাঁকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করতে বলা হয়েছিল। সেটা তিনি এক সপ্তাহ পরে জানতে পারেন। তিনি আরও বলেছেন, এইসবের মূলে রয়েছে স্থানীয় দুই মহিলা। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর শাশুড়িতে বাড়ি থেকে ডেকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়, সেখানেও জোর করে সাদা কাগজে সই করতে বাধ্য করা হয়। মহিলা আরও বলেন, এক সপ্তাহ পরে তিনি জানতে পারেন তিন থেকে চার জনকে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, তাঁদের সঙ্গে কোনও যৌন নির্যাতন হয়নি। বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে যে ধর্ষণের অভিযোগ করতে বলা হয়েছিল তাও মিথ্যা। মহিলা দাবি করেছেন, মামলা করতে তিনি চান না। তুলে নিতে চান। মামলা লড়ার ক্ষমতা তাঁর নেই বলেও জানিয়েছেন।
যে দুই মহিলার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে তাদেরই একজনের নাম পিয়ালি। তিনি বলেছেন, যে অভিযোগ করেছে সে রেখা পাত্রর সঙ্গে থানায় গিয়ে অভিযোগ করেছে। থানায় সিসিটিভি ফুটেজ দেখলে সব পরিষ্কার হয়ে যাবে। কোনও সাদা কাগজে সই করানো হয়নি বলেও দাবি করেছেন। সন্দেশখালি নিয়ে সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেছেন, সন্দেশখালি নিয়ে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। স্থানীয় মহিলাদের ধর্ষণের অভিযোগ করতে বাধ্য করেছে বিজেপি। বাংলার সাহসী মহিলারা এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে।
সন্দেশখালি স্টিং আপারেশনের একটি ভিডিওকেই সম্প্রতি হাতিয়ার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেখানেই বিজেপি মণ্ডল সভাপতিকে বলতে শোনা গেছে সন্দেশখালির মহিলাদের বিক্ষোভ পুরোটাই সাজানো। মহিলাদের অভিযোগও সাজানো। গোটাই হয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর নির্দেশে। তিনি টাকা দিয়ে সাহায্য করেছিলেন। যদিও বিজেপি নেতা গঙ্গাধর পরবর্তীকালে বলেন এই ভিডিও ভুয়ো। তিনি তদন্ত চেয়ে সিবিআই-এর দ্বারস্থ হয়েছেন। যদিও আগে সন্দেশখালির শাহজাহান নিয়ে কিছুটা হলেও ব্যাকফুটে ছিল তৃণমূল কংগ্রেস। তবে লোকসভা নির্বাচনে সন্দেশখালি শুধু এলাকার ইস্যু নয়, রাজ্যের ইস্যুতে পরিণত হয়েছে।