সংক্ষিপ্ত

কম্বল-কাণ্ডে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে রাজ্য সরকার প্রথমে দ্বারস্থ হয় সুপ্রিম কোর্টের। তা খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। তারপরই রাজ্য আবারও হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়।

শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের দাবিতে রাজ্যের আবেদন খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। একই সঙ্গে এই বিষয়ে রাজ্য সরকারকে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতেই নির্দেশ দিয়েছে। আসানসোলের একটি অনুষ্ঠানে বুধবার কম্বল বিলি করেন বিজেপি নেতা তথা পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু সেখানে হুড়োহুড়ির কারণে পদপৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় তিন জনের। এই ঘটনায় গোটা দায়ে শুভেন্দু অধিকারীর। এই অভিযোগ তুলেই শুভেন্দুর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার জন্য সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য সরকার।

সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূ়ড় ও বিচারপতি পিএস নরসীমার ডিভিশন বেঞ্চে অবেদনের শুনানি হয়। সেখানেই রাজ্যসরকারের পক্ষের আইনজীবী এএম সিংভি বলেছিলেন তিনি এফআইআর দায়ের ওপর যে স্থগিতাদেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট সেই আদেশের বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ চান। তিনি আরও বলেছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারক এখন উপস্থিত নেই। আর সেই কারণে আদেশ পরিবর্তনের জন্য তিনি শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে।

কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট সেই আবেদন গ্রহণ করতে অস্বীকার করে। তারপরই রাজ্য সরকারকে স্পষ্টই জানিয়ে দেয় এই বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে পারে রাজ্য। এরফলে রাজ্য সরকার তাদের আবেদন প্রত্যা করে নয়।

সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশের পরই রাজ্য সরকার কলকাতা আদালতের দ্বারস্থ হয়। বিচারপতি রাজশেখের মান্থার একক বেঞ্চে নির্দেশ পরিবর্তনের আবেদন জানানয প্রধান বিচারপতি সেই মামলা শুনতে রাজি হয়েছে। দ্রুত আবেনের শুনানি হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছে।

বুধবার পশ্চিম বর্ধমানের আসাবসোলের রামকৃষ্ণডাঙায়া এসেছিলেন বিরোধী দলনেতা। সেখানে স্থানীয় মেয়র জীতেন্দ্র তিওয়ারির উদ্যোগে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই কম্বলবিলির কর্মসূচি ছিল। কিন্তু অপরিসর জায়গা হওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় তিন জনের। এই ঘটনার দায় তৃণমূল কংগ্রেস ইতিমধ্যেই চাপিয়েছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ওপর। তবে কম্বলবিলির অনুষ্ঠান নিয়ে কিছুটা হলেও চাপ বাড়ছে শুভেন্দুর ওপর।

প্রসঙ্গত, এর আগে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে ২৬টি এফআইআর-এর স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থা। একই সঙ্গে নির্দেশ ছিল আগামী দিনে বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে কোনও এফআইআর দায়ের করতে হল অনুমতি লাগবে আদালতের। বৃহস্পতিবার সেই রায়কেই চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য সরকার।