সংক্ষিপ্ত

পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়কে ২০২২ সালে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেফতার করেছিল । সেই সময় হিসেব বহির্ভূত প্রচুর টাকা উদ্ধার হয়েছিল পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের নাকতলার বাড়ি থেকে ।

 

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ক্রমশই বিপাকে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর আরও সম্পত্তি আর জমিজমা বাজেয়াপ্ত করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সেই তালিকায় রয়েছে,বোলপুর, বিষ্ণুপুরের নাম। তবে সব থেকে অবার করার মত নাম হল কলকাতার পাটুলির জমি। পাটুলির মত গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় কয়েক কাঠা জমি বাজেয়াপ্ত করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। কিন্তু সেই জমি পার্থর নামে নেই। জমি রয়েছে, এক মহিলার নামে।

পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়কে ২০২২ সালে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেফতার করেছিল । সেই সময় হিসেব বহির্ভূত প্রচুর টাকা উদ্ধার হয়েছিল পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের নাকতলার বাড়ি থেকে । কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা উদ্ধার হয়েছিল তাঁর বান্ধবী অর্পিতার বাড়ি থেকে। তারপর থেকে দুজনেই জেলে রয়েছে। সেই সময় পরপর প্রচুর সম্পত্তি উদ্ধার হয়েছিল। কিছু নামে আর কিছু বেনামে। কিন্তু তারপরেও পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের হিসেব বহির্ভূত সম্পত্তির উদ্ধার করেছে। এবারও তেমনই প্রচুর সম্পত্তি উদ্ধার করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। এবার সম্পত্তি উদ্ধার হয়েছে, কলকাতার পাটুলি, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুর আর বীরভূমের বোলপুরে। কয়েক কোটি টাকার জমি, সম্পত্তি উদ্ধার করেছে । তদন্তকারীদের অনুমান এই বাজেয়াপ্ত হওয়া সম্পত্তির সঙ্গে যোগ রয়েছে নিয়োগ দুর্নীতির।

এবার সবথেকে বেশি আলোচনায় পাটুলির সম্পত্তি। এই সম্পত্তি এক মহিলার নামে। পাটুলি থেকে কেন্দ্রীয় সংস্থা ১৮ কাঠা জমি উদ্ধার করেছে। তিনটি জমি রয়েছে। জমিগুলির প্লট হল ৭.৭. ও ৪ কাঠা। এই সম্পত্তি বাবলি চট্টোপাধ্যায়ের নামে। বাবলি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী। আগেই মারা গিয়েছেন। তাঁর নামে একটি ট্রাস্ট রয়েছে। সেই ট্রাস্টের নামেই জমি কেনা হয়েছিল। সূত্রের খবর জমিতে আগে পুকুর ছিল। পরে তা বুজিয়ে দেওয়া হয়। চার দিক উঁচু পাঁচিল দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছিল। জমিতে একটি প্রজেক্ট তৈরির পোস্টার দেওয়া হয়। কিন্তু বর্তমানে সেখানে কাজের কোনও চিহ্ন নেই। জমি খালি পড়ে রয়েছে। ইডি সূত্রের খবর পার্থর নামে এই সম্পত্তি রেজিস্ট্রি করা হয়নি। কিন্তু পার্থই এই সম্পত্তির আসল মালিক।