সংক্ষিপ্ত
আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের নৃশংস ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ধর্ষণের ঘটনায় কঠোর শাস্তির জন্য আইন আনছে রাজ্য সরকার। এরই মধ্যে রাজ্যের অপর প্রান্তে ধর্ষণের ঘটনায় মৃত্যুদণ্ড দিল আদালত।
কয়েকদিন আগেই বিধানসভায় সর্বসম্মতিতে অনুমোদিত হয়েছে 'অপরাজিতা' বিল। এই বিলে ধর্ষণের শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের কথা বলা হয়েছে। রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস স্বাক্ষর করলে এই বিল আইনে পরিণত হবে। তবে রাজ্যে নতুন আইন জারি হওয়ার আগেই ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করল আদালত। ২০২৩ সালে উত্তরবঙ্গের মাটিগাড়ায় একাদশ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় অপরাধীর মৃত্যুদণ্ড দিল শিলিগুড়ি আদালত। মৃত্যুদণ্ড পাওয়া অপরাধীর নাম মহম্মদ আব্বাস। সে ২০২৩ সালের ২১ অগাস্ট ওই নাবালিকাকে মাটিগাড়ায় জঙ্গলের মধ্যে এক পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে গিয়ে তার উপর অকথ্য অত্যাচার চালায়। এই অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে প্রাণ হারায় নাবালিকা। মৃতদেহ যাতে শনাক্ত না করা যায়, তার জন্য পাথর দিয়ে নাবালিকার মুখ থেঁতলে দেয় আব্বাস। এই ঘটনাতেই তার মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করলেন শিলিগুড়ি আদালতের বিচারক অনিতা মেহেত্রা মাথুর।
মৃত্যুদণ্ড রদের আর্জি খারিজ
আব্বাসের বিরুদ্ধে যাবতীয় তথ্য-প্রমাণ খতিয়ে দেখে তাকে বৃহস্পতিবার দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। এরপর শুক্রবার সাজা ঘোষণার কথা ছিল। সরকারি আইনজীবী বিভাস চট্টোপাধ্যায় মৃত্যুদণ্ডের পক্ষে সওয়াল করেন। পাল্টা অপরাধীর আইনজীবী সওয়াল করেন, তাঁর মক্কেলের বৃদ্ধা মা ও পরিবারের কথা ভেবে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া উচিত নয়। সবপক্ষের সওয়াল-জবাব শোনার পর আদালত মৃত্যুদণ্ড এবং মৃতার পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
মৃত্যুদণ্ডে খুশি মৃতার পরিবার
শনিবার আদালতে ছিল মৃতার পরিবার। আদালত ফাঁসির সাজা দেওয়ায় মৃতার পরিবার-পরিজনরা খুশি। মৃতার মা বলেছেন, 'আদালতের এই রায়ে আমরা খুশি। আমার এবার মেয়ে শান্তি পাবে। মাটিগাড়া থানা, আদালতের উপর আমাদের ভরসা ছিল।'
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
জেলেই মারা যেতে পারেন সঞ্জয় রায়? আরজি করের ধৃতকে নিয়ে কেন এমন আশঙ্কা বিজেপির
কখন , কীভাবে খুন আরজি করের নির্যাতিতাকে, রহস্যময়ী প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ানে ধোঁয়াশা কাটছে CBI-এর