সংক্ষিপ্ত

আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীদের অনেকেই ভেবেছিলেন বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট কোনও আশার কথা শোনাবে। কিন্তু শুনানি শেষ হয়নি।

 

'অযোগ্য প্রার্থীদের বাদ না দিয়ে কেন অতিরিক্ত পদ তৈরি করা হল?' এসএসসির মামলায় সুপ্রিম কোর্টে এই প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছে রাজ্য সরকারকে। কিন্তু তারপরে স্বস্তি নেই রাজ্য সরকারের। একই প্রশ্ন চাকরির দাবিতে আন্দোলনকারীদের। চাকরির দাবিতে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে ধর্নায় বসেছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের ধর্নার ১৩০৯ দিন পার হয়েছে। আন্দোলনকারীদের মধ্যে নবম ও দশম শ্রেণির প্রার্থীদের সংখ্যা তিন হাজারের মতো। আর একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির প্রার্থীর সংখ্যা আড়াই হাজার।

 

গান্ধীমূর্তির পাদদেশে চাকরির দাবি নিয়ে আন্দোলনকারীদের আশা ছিল বৃহস্পতিবারই সুপ্রিম কোর্টে শুনানি শেষ হবে। কিন্তু তা হয়নি। এই মামলায় পরবর্তী শুনানি আগামী ৭ জানুয়ারি। যা শুনে রীতিমত হতাশ আন্দোলনকারীরা। তাদের প্রশ্ন কেন দ্রুত বাছা হচ্ছে না বৈধ ও অবৈধ প্রার্থীদের। আন্দোলনকারীদেরপক্ষ থেকে বিল্ব ঘোষ জানিয়েছেন, স্কুল সার্ভিক কমিশন বলছে তারা প্যানেল থেকে যোগ্য ও অযোগ্যদের পার্থক্য করতে পারবে। তা হলে সেটা একদিন ধরে করছে না কেন? তাঁর আরও প্রশ্ন কাদের বাঁচাতে চাইছে স্কুলসার্ভিস কমিশন? তিনি আরও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, প্যানেল থেকে যোগ্য ও অযোগ্যদের বাতিল না করলে পুরো প্যানেলই বাতিল হয়ে যেতে পারে। তাতে তালিকায় থাকা যোগ্য প্রার্থীদের চাকরি পাওয়ার আশা পুরোপুরি শেষ হতে যাবে বলেও আশঙ্কা করেছেন তিনি।

অপেক্ষামান তালিকায় থাকা চাকরি প্রার্থী বা আন্দোলনকারী অরূপ বিশ্বাস বলেন, আন্দোলন চার বছর ধরে চলছে। অনেকেরই চাকরির বয়স পার হয়েছে। অনেকে ঘর ভাড়া নিয়ে আন্দোলন করছেন। যাদের সেই সামর্থ্য নেই তারা নিয়মিত আসতে পারেন না। আন্দোলন বন্ধ হয়নি। পালা করে আন্দোলনকারীরা ধর্নামঞ্চে আসেন। তবে বিশেষ বিশেষ দিনে ধর্নামঞ্চে আন্দোলনকারীর সংখ্যা বেড়ে যায়। জানিয়েছেন তিনি।

আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীদের অনেকেই ভেবেছিলেন বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট কোনও আশার কথা শোনাবে। কিন্তু শুনানি শেষ হয়নি। এই অবস্থায় পরবর্তী শুনানির দিন ধার্ষ হয়েছে আগামী ৭ জানুয়ারি।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।