সংক্ষিপ্ত

এক শিক্ষক সামিল হয়েছেন শহিদ মিনার চত্ত্বরে। সেখানেই চাকরিহারারা আন্দোলন শুরু করেছে। তাঁদের দাবি হাইকোর্টের নির্দেশে অযোগ্য প্রার্থীদের সঙ্গে চাকরি গেছে যোগ্য প্রার্থীদেরও।

 

একেই বলে কপালের ফের! প্রথম এসএসসি পাস করেছিলেন ২০১১ সালে পরীক্ষা দিয়ে। অর্থাৎ রাজ্যে পালাবদলের সময়। কিন্তু পোস্টিং ছিল বাড়ি থেকে অনেকটা দূরে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার দূরে। এতটা রাস্তা ঠেঙিয়ে ছাত্র পড়াতে সমস্যা হচ্ছিল। তাই ২০১৬ সালে আবারও এসএসসি পরীক্ষায় বলেন। কিন্তু এবার কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে চাকরি গেল নদিয়ার সেই স্কুল শিক্ষকের।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক সামিল হয়েছেন শহিদ মিনার চত্ত্বরে। সেখানেই চাকরিহারারা আন্দোলন শুরু করেছে। তাঁদের দাবি হাইকোর্টের নির্দেশে অযোগ্য প্রার্থীদের সঙ্গে চাকরি গেছে যোগ্য প্রার্থীদেরও। সেই তালিকায় রয়েছেন তিনি। আন্দোলনকারীদের দাবি প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক শিক্ষিকার নিয়োগ বাতিল হয়েছে। যেখানে ১৯ হাজার প্রার্থী যোগ্যো। আর বাকি প্রায় ৫ হাজার প্রার্থী অযোগ্য।

নদিয়ার শিক্ষক জানিয়েছেন প্রায় ১৫০ কিলোমিটার দূরে চাকরি করেতে সমস্যা হচ্ছিল। তাই বদলির অনেক চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তা পাননি। তাই কিছুটা বাধ্য় হয়ে ২০১৬ সালে আবারও এসএসসি পরীক্ষায় বসেন। তাতেও পাশ করেন, আর চাকরি পান। পেফিক্সশন হয়েছে। সার্ভিস কনটিনিউয়েশন হয়েচে। বাড়ির কাছের স্কুলে চাকরি নিয়ে আসাই তাঁর মূল উদ্দেশ্য ছিল। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে তাঁরও চাকরি গেছে। তাদের আত্মপক্ষ সমর্থনের কোনও সুযোগ দেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ। তবে তারা সুপ্রিম কোর্টে যাবেন এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে।

হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরিহারারা দ্রুত সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হবে। ইতিমধ্যেই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জড়ো করতেও শুরু করেছে তারা। এক চাকরিহারা জানিয়েছেন। তারা ওআরএম শিট বা উত্তরপত্রগুলি জড়ো করা হচ্ছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে অনেকেরই নাম মেধাতালিকায় রয়েছে। সেইসব কাগজ নিয়েই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছেন। সেখানেই ন্যায়বিচার চাইবেন তাঁরা। এক চাকরিপ্রার্থীর কথায় যারা অযোগ্য তাদের কোনও মাথাব্যাথা নেই। কিন্তু যারা যোগ্য তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবে বলেও জোরের সঙ্গে জানিয়েছেন।