সংক্ষিপ্ত
শনিবার ই-ফাইলিং করে রাজ্য ও নির্বাচন কমিশন। পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ রাজ্য।
পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হল রাজ্য ও রাজ্য নির্বাচন কমিশন। পঞ্চায়েত ভোটের রাজ্যের ২২টি জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হল রাজ্য সরকার ও নির্বাচন কমিশন। শনিবার ই-ফাইলিং-এর মাধ্যমে রাজ্য ও নির্বাচন কমিশন একত্রে আদেবন জানিয়েছে বলে সূত্রের খবর।
সূত্রেরসখবর রাজ্য নির্বাচন কমিশনের অধিকারিক ও রাজ্য সরকারের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা ও পর্যালোচনার পরই হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে দুই পক্ষ। কলকাতা হাইকোর্ট বৃহস্পতিবার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য গোটা রাজ্যেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছিল। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ বৃহস্পিবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছিল। যদিও আগেই কলকাতা হাইকোর্ট রাজ্যের স্পর্শকাতর ৭ এলাকায় চিহ্নিত করে সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়নের নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু ১৩ জুন শুনানির সময় রাজ্য নির্বাচন কমিশন এলাকা চিহ্নিত করতে পারেনি বলে জানায়। পাশাপাশি রাজ্য সরকারেও কেন্দ্রীয় বাহিনীর মোতায়েনের নির্দেশের রায়কে পুর্নিবিবেচনার আর্জি জানিয়েছিল। পাল্টা হিসেবে তারপরই কলকাতা হাইকোর্ট গোটা রাজ্যেই কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর কথা বলে।
শনিবার ও রবিবার সুপ্রিম কোর্ট বন্ধ তাই ই-ফাইলিং করার চিন্তাভাবনা চলছে বলে জানিয়ে নবান্নের একটি সূত্র। তবে রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাজ্য নির্বাচন কমিশন সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে কিনা তা এখনও স্পষ্ট করেনি কমিশন। যদিও এখনও রাজ্য সরকার আনুষ্ঠানিক ভাবে এই বিষয়ে কিছুই জানায়নি। যদিও হাইকোর্টের রায়ে অনুযায়ী রাজ্য ও নির্বাচন কমিশনের সামনে রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার রাস্তা পুরোপুরি খোলা হয়েছে। কিন্তু বৃহস্পতিবার আদালতের রায় অনুযায়ী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। রায়ের পরে কেটে গেছে ২৪ ঘণ্টা। বাকি আর ২৪ ঘণ্টা।
যাইহোক রাজ্যে ভোট সন্ত্রাসের একাধিক অভিযোগ উঠেছে শাসকদলের পক্ষে। ইতিমধ্যেই মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে। বিরোধীদের একাধিক অভিযোগ রয়েছে শাসকদলের বিরুদ্ধে। যদিও তৃণমূলের দাবি এখনও পর্যন্ত সবকিছুই শান্তিপূর্ণ। মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় একাধিক জনসভা থেকে বলেছেন, এই রাজ্যে এর আগে এত শান্তিপূর্ণ মনোনয়ন জমা পড়ার ঘটনা ঘটেনি। এই প্রসঙ্গে বলে রাখা ভাল কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়নের নির্দেশের তীব্র সমালোচনা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবারও কেন্দ্রীয় বাহিনী ইস্যুতে সরব হন মমতা। তিনি দাবি করেন ২০১৩ সালে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার মীরা পাণ্ডে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করিয়েছিলেন, তাতে মৃত্যু হয়েছিল ৩৯ জনের।
আরও পড়ুনঃ
মনোনয়নপত্র পরীক্ষা ঘিরে ধুন্ধুমার দিনহাটা, নীশিথের কনভয়ে তীর ছোঁড়ার অভিযোগ উদয়ন গুহর বিরুদ্ধে
Monsoon Forecast: বর্ষার আগমন নিয়ে সুখবর আলিপুর হাওয়া অফিসের, তবে এখনই দাবদহ থেকে নিস্তার নেই
'অভিষেক ২ বছর বয়স থেকে রাজনীতি করে', কাকদ্বীপ থেকে পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে বিরোধীদের তোপ মমতার