সংক্ষিপ্ত

ক্লাবগুলি খরচের যথাযথ হিসেব দেয়নি। তারই কিছুটা বাধ্য হয়েই রাজ্য সরকার ক্লাবগুলির আর্থিক অনুদান বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

 

রাজ্যের ক্লাবগুলিকে আর আর্থিক সাহায্য করবে না সরকার। তেমনই জানিয়েছে নবান্ন সূত্র। রাজ্যের ক্লাবগুলি পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য রাজ্য সরকার আর্থিক সাহায্য করত। কিন্তু ক্লাবগুলি খরচের যথাযথ হিসেব দেয়নি। তারই কিছুটা বাধ্য হয়েই রাজ্য সরকার ক্লাবগুলির আর্থিক অনুদান বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে নবান্ন খবর এই সিদ্ধান্ত রাজ্যের নিজস্ব। এর সঙ্গে দুর্গাপুজোর অনুদানের কোনও সম্পর্ক নেই।

২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ক্লাবগুলিকে পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। প্রথম বছর ২ লক্ষ টাতা পরবর্তী তিন বছর ১ লক্ষ করে টাকা দেওয়া হয়েছিল। সবমিলিয়ে ক্লাবগুলি প্রায় ৫ লক্ষ টাকা পেয়েছিল। কিন্তু রাজ্য সরকার ক্লাবগুলির থেকে প্রায়ই হিসেব চেয়েছিল। তবে ক্লাবগুলি হিসেব দিতে গাফিলতিকরে। ২০২০ সালের পর থেকে কোভিডের কারণে আর্থিক অনুদান দেওয়া বন্ধ করেছিল। কিন্তু এবার নবান্ন সূত্রের খবর আপাতত ক্লাবগুলিকে আর আর্থিক সাহায্য করা হবে না।

নবান্ন সূত্রের খহর প্রথম বছর রাজ্য সরকার ৭৮১টি ক্লাবকে মোট ১৫ লক্ষ টাকা সরকারি অনুদান হিসেবে দিয়েছিল। পরের বছর রাজ্য ১৫০০ ক্লাবকে আর্থিক অনুদান দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকার অতিরিক্ত ৪০ কোটি টাকা ব্যায় করেছিল। কিন্তু কোনও হিসেব পায়নি টাকা খরচের। সেই কারণেই আর্থিক অনুদান দেওয়া বন্ধ করার চিন্তাভাবনা করেছে নবান্ন। যদিও ক্লাবগুলিকে আর্থিক অনুদান দেওয়া নিয়ে রাজ্য সরকার বা তৃণমূল কংগ্রেসের তীব্র সমালোচনা করেছিল বিরোধীরা।

অন্যদিকে এবারও সমাচোনার সত্ত্বেও রাজ্য সরকার দুর্গাপুজো জন্য ক্লাবগুলিকে আর্থিক সাহায্য করছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় দুর্গাপুজো উপলক্ষ্যে ক্লাবগুলিকে ৭০ হাজার টাকা অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। পাশাপাশি সরকারি একাধিক দফতর যে কাজ বা উন্নয়নমূলক প্রকল্প চালায় সেগুলিও বিজ্ঞাপন দেওয়া হবে পুজো কমিটিগুলিকে। তা বাবদ টাকা পাবে পুজো কমিটিগুলি। ২৬ অক্টোবরের মধ্য প্রতিবা বিসর্জন করতে হবে। লক্ষ্মীপুজোর আগের দিন অর্থাৎ ২৭ অক্টোবর হবে পুজো কার্নিভ্যাল। মমতা এদিন বলেছেন নিরাপত্তাবিধি মেনেই দুর্গাপুজোর উৎসব পালন করতে হব।