সংক্ষিপ্ত
SSC Case: সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) রায়ে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় চাকরি বাতিল (Job Cancel) হয়েছে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা আর শিক্ষা কর্মীর। শাসক বিরোধী দুই পক্ষেরই দাবি এই ঘটনায় রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থায় যথেষ্ট প্রভাব ফেলবে।
SSC Case: সুপ্রিম কোর্টের রায়ে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় চাকরি বাতিল হয়েছে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা আর শিক্ষা কর্মীর। শাসক বিরোধী দুই পক্ষেরই দাবি এই ঘটনায় রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থায় যথেষ্ট প্রভাব ফেলবে। রাজ্য শিক্ষাদফতরও ইতিমধ্যেই হিসেব নিকেশ করতে শুরু হয়েছে। শিক্ষা দফতর সূত্রের খবর রাজ্যের হাজার হাজার স্কুল সমস্যায় পড়ছে আগামী দিনে। অন্যদিকে মাসের প্রথম দিকে এই রায়ের কারণে রীতিমত চাপে পড়ছে সরকরি ও সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলগুলির প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ভারপ্রাপ্তরা। বেতনের পোর্টাল আপডেট করতে সমস্যা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় চাকরি বাতিলের রায় ঘোষণা করেছে সুপ্রিম কোর্ট। বাতিল করেছে ২০১৬ সালের প্যানেল। যার কারণে চাকরি বাতিল হয়েঠে ২৫.৫৭২ জনের। নিয়ম মেনে রাজ্যের সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত ও পোষিত স্কুলের শিক্ষররা বেতন পান সেই মাসের শেষ দিকে। ওই বেতনের জন্য স্কুলের তরফে রিকুইজিশন সেই মাসেরই ১০ তারিখের মধ্যে আপলোড করতে হয়। এপ্রিল মাসে রিকুউজিশন জমা করতেই গিয়েই সমস্যায় পড়েছেন একাধিক স্কুলের প্রধানারা। এপ্রিলের বেতন পাওয়ার তালিকায় কাদের রাখবেন আর কাদের রাখবেন না তাই নিয়ে তৈরি হয়েছে জটিলতা। কারণ সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরে এখনও পর্যন্ত সেই সংক্রান্ত কোনও নির্দেশ জারি করেনি রাজ্যের শিক্ষা দফতর। রাজ্য শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, কৃর্তপক্ষ যখন এই বেতন প্রাপকদের তলিকা তৈরি করছেন, তখন প্রাভাবিত স্কুলগুলির একটি পরিসংক্যান তাদের কাছে আসছে।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে নবম-দশম শ্রেণির ১২,৯৪৬ জন শিক্ষক, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির ৫,৭৫৬ জন শিক্ষক, ২,৪৮৩ জন গ্রুপসি কর্মী এবং ৪,৫৫০ জন গ্রুপ ডি কর্মীর চাকরি গিয়েছে। এই সংখ্যার যোগফলের পরেও রাজ্যের সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত এবং পোষিত স্কুলে আরও কয়েক জনের চাকরি গিয়েছে। শিক্ষা দফতর সূত্রের খবর রাজ্যের উচ্চমাধ্যমিক স্তরে পড়াতেম এমন শিক্ষকদের চাকরি বাতিল হওয়ায় প্রভাব পড়েছে রাজ্যের প্রায় ৩১২৫টি স্কুলে। নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষকদের চাকরি বাতিল হওয়ায় প্রভাব পড়তে পারে ৫৪২৬টি স্কুলে। গ্রুপ সি কর্মীদের চাকরি যাওয়ায় সমস্যয় পড়তে পরে ২২১৫টি স্কুল আর গ্রুপ ডি কর্মীদের চাকরি বাতিল হওয়ায় প্রভাব পড়তে পরে ৩৮৮৫টি স্কুলে। এমন অনেক স্কুল রয়েছে যেখানে একাধিক শিক্ষক-শিক্ষিকার কাজ গেছে। ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে এমন স্কুল যেখানে আর কোনও শিক্ষক বা শিক্ষিকা রইল না পড়ানোর জন্য।
বেতন সংক্রান্ত তথ্যের পোর্টাল ভরাট করতে সমস্যায় হচ্ছে প্রধান শিক্ষক আর শিক্ষিকাদের। বেশিরভাগ স্কুলই জানাচ্ছে সরকারের নির্দেশিকা না আসায় সমস্যা হচ্ছে পোর্টাল আপলোড করতে। সরকারি নির্দেশিকার অপেক্ষায় রয়েছেন তাঁরা। তবে যে সরকারি পোর্টালে বেতন সংক্রান্ত তথ্য আপলোড করতে হয় সেটি এখন বন্ধ রয়েছে। সরকারি সূত্রের খবর প্রযুক্তিগত কারণে সেটি আপাতত বন্ধ রয়েছে। কিন্তু সেটি চালু হলে কী কী করা হবে তা নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। অপেক্ষা সরকারি সিদ্ধান্তের।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।