- Home
- West Bengal
- West Bengal News
- কী ভাবে লুঠ করা হয়েছে ট্যাবের লক্ষ লক্ষ টাকা? তদন্তে নেমে পুলিশের হাতে এল মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া তথ্য
কী ভাবে লুঠ করা হয়েছে ট্যাবের লক্ষ লক্ষ টাকা? তদন্তে নেমে পুলিশের হাতে এল মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া তথ্য
- FB
- TW
- Linkdin
ট্যাব কেলেঙ্কারি
তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পে রাজ্য সরকার রাজ্যের একাধিক ও দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের ১০ হাজার করে টাকা দেয়। ট্যাব বা মোবাইল কিনতে। পডুয়াদের ব্যাঙ্ক অ্যাকউন্ট হ্যাক করে টাকা লুঠ করছে সাইবার অপরাধীরা।
১৫ জেলায় ট্যাবের টাকা লুঠ
ইতিমধ্যেই ট্যাব কেলেঙ্কারির তদন্তে নেমে রাজ্য পুলিশ। তদন্ত করছে কলকাতা পুলিশ। তাতেই স্পষ্ট রাজ্যের ১৫টি জেলায় ছড়িয়েছে ট্যাব কেলেঙ্কারির জাল। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১৯৪টি স্কুলের পড়ুয়ারা।
কলকাতা পুলিশের দাবি
কলকাতা পুলিশের দাবি ট্যাব কেলেঙ্কারির আঁতুড়ঘর উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়া। এই ঘটনায় একাধিক জন যুক্ত রয়েছে। ইতিমধ্যে ১১জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
কী করে ট্যাব কেলেঙ্কারি
কী করে পডুয়াদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পড়া টাকা অন্য কেউ তুলে নিতে পারে- এই রহস্যের সমাধান করতে গিয়ে পুলিশের হাতে এসেছে একাধিক তথ্য। জামতাড়া গ্যাং-এর কথাও উড়িয়ে দিচ্ছে না তদন্তকারীরা।
ট্যাব কেলেঙ্কারির শিকার
রাজ্য পুলিশ জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ৭৮১ জন পড়ুয়া ট্যাব কেলেঙ্কারির শিকার হয়েছে বলে তারা জানতে পেরেছে। জেলাভিত্তিক হিসাবে অবশ্য দেখা যাচ্ছে, রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ১৩৫২ জন পড়ুয়ার অ্যাকাউন্টে ট্যাবের টাকা ঢোকেনি। ট্যাব-কাণ্ডে সবচেয়ে বেশি হয়রানির শিকার দক্ষিণ ২৪ পরগনার পড়ুয়ারা।
ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ভাড়া
তদন্তকারীদের সূত্রের খবর, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ভাড়া নিয়েই দেদার লুঠ করা হয়েছিল সরকারি প্রকল্পের টাকা। ১০ হাজার টাকায় ৩০০ টাকার বিনিময় ব্যাঙ্ক অ্যাকউন্ট ভাড়া নেওয়া হয়েছিল।
নজরে কম্পিউটার অপারেটররা
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, প্রত্যন্ত এলাকায় কোনও স্কুলেই স্থায়ী কম্পিউটার অপারেটর নেই। আর সেই কারণে অস্থায়ী কর্মী বা সাইবার ক্যাফের ওপর নির্ভর করতে হয়। অনুমান সেখান থেকে ফাঁস হয়েছে পোর্টালের পাসওয়ার্ড।
অভিযোগের আঙুল
মালদার ভগবানপুর কেবিএস স্কুলে চুক্তিভিত্তিক কম্পিউটার শিক্ষক রকি শেখের বিরুদ্ধে একাধিক স্কুলের অ্যাকাউন্টের লগইন ক্রেডেনশিয়াল সরবরাহ করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
টার্গেট গ্রামাঞ্চল
তদন্তকারী সূত্রের খবর, টার্গেট করা হয়েছে গ্রাম এলাকার নিম্নবিত্ত পরিবারকে। কারণ ১০ হাজার টাকা লেনদেনের জন্য ৩০০ টাকার বিনিময় অ্যাকাউন্ট ভাড়া নেয় প্রতারকরা। তারপর সংশ্লিষ্টের এটিএম কার্ড নিজেদের কাছে রেখে দেয়। সেখানেই পড়ত ট্যাব লুঠের টাকা।
জামতাড়া গ্যাং-এর তত্ত্ব
এই কেলেঙ্কারিতে জামতাড়া গ্যাংএর হাত থাকতে পারে বলেও মনে করছেন অনেক তদন্তকারী। তাই সেই দিকটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।