সংক্ষিপ্ত

বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দিলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদি মুর্মু। সঙ্গে ছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।

 

রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদি মুর্মু দুই দিনের পশ্চিমবঙ্গ সফরের দ্বিতীয় দিনে শান্তিনিকেতনে গিয়েছিলেন। যোগ দিয়েছিলেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে। সেখানে তিনি বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে স্মরণ করেন। তিনি বলেন, কবিগুরু বিশ্বব্যাপী জ্ঞানের শীর্ষস্থানের উৎস হিসেবে ভারতকে কল্পনা করেছিলেন। তিনি আরও বলেন কবিগুরুর নোবেল জয় এশিয়ার জন্য বিশেষ ঘটনা ছিল।

কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিদর্শন করেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদি মুর্মু। তিনি বলেন তিনি একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করার সৌভাগ্য অর্জন করেছেন। কিন্তু বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সফর তাঁর কাছে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই বিশ্ববিদ্যালয় দেশের অন্যতম সেরা চিন্তাবিদদের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। এই বিশ্বে গুরুগেব ভারতকে জ্ঞানের প্রধান উৎস হিসেবে তিনি কল্পনা করেছিলেন। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় একটি নীতির ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠা হয়েছিল।

দ্রৌপদি মুর্মু আরও বলেন, ভারত ও প্রতিবেশী বাংলাদেশ দুটি দেশেরই জাতীয় সঙ্গীত - জনগন মন ও আমার সোনার বাংলা - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা। এদিন শান্তিনিকেতনে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার আগে সোমবার তিনি জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ি গিয়েছিলেন। সেখানে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন কবিগুরু আরামের জীবন ছেড়ে দেশের তরুণদের তাঁদের স্বপ্নের পথে চলতে সাহায্য করেছিলেন। তিনি দেশের তরুণদের উৎসাহিত করেছিলেন।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রথম এশীয় নোবেল জয়ী ব্যক্তিত্ব। ১৯২১ সালে তিনি বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ১৯৫১ সালে সংসদের একটি আইন দ্বারা একটিকে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা দেওয়া হয়েছিল। এদিন সমাবর্তন অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদি মুর্মুর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপাল সিবি আনন্দ বোস, বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। এদিন ২০২২ সালের পড়ুয়াদের ডিগ্রি প্রদান করা হয় এদিন।

কলকাতায় দ্রৌপদি মুর্মুকে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সেই অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় দ্রৌপদি মুর্মুর ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি রাষ্ট্রপতিকে গোল্ডেন লেডি হিসেবে সম্বোধন করেন। মমতা বলেন এই দেশের বিভিন্ন সম্প্রদায়, বপ্ণ ও ধর্মের মানুষদের একটি গর্বিত ঐতিহ্য রয়েছে। যারা যুগে যুগে সম্প্রীতির বার্তা দিয়ে আসছে। মমতা এদিন রাষ্ট্রপতিকে ম্যাডাম রাষ্ট্রপতি বলেও সম্বোধন করেন। বলেন, 'ম্য়াডাম রাষ্ট্রপতি আপনি দেশের সাংবিধানিক প্রধান। আমি আপনাকে সংবিধান ও দেশের দরিদ্র জনগণের সংবিধানিক অধিকার রক্ষার করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।'

দুই দিনের সফরে কাল অর্থাৎ সোমবার রাজ্যে এসেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। রাষ্ট্রপতি আগামিকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তিনি । তাঁর সঙ্গে থাকবেন রাজ্যপাল সিবি আনন্দ বোস। রবিবার রাষ্ট্রপতি ভবনে জারি করা একটি বিবৃতি জারি করে এই কথা জানান হয়েছে। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু সোমবার সুভাষচন্দ্র বসুকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। তিনি কলকাতায় নেতাজির বাসভবনেও যান সেখানে পরিবারের সদস্যদেরক সঙ্গে কছথা বলেন। এই দিনই রাষ্ট্রপতি জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে যান। তিনি জোড়াসাঁকো পরিদর্শন করেন। একই সঙ্গে কবিগুরুতে শ্রদ্ধা জানান।। এটাই রাষ্ট্রপতি হওয়ার পরে তাঁর প্রথম কলকাতা সফর।

আরও পড়ুনঃ

কাল থেকে কলকাতায় মমতার কেন্দ্র বিরোধী ধর্না , দিল্লিতে প্রতিবাদ আন্দোলন তৃণমূল সাংসদদের

কোন টাকায় ২২ লাখি গাড়ি এল সিপিএম-এর হোলটাইমারের? কুণালের প্রশ্নের কড়া জবাব দিল শতরূপ

কাল থেকে কলকাতায় মমতার কেন্দ্র বিরোধী ধর্না , দিল্লিতে প্রতিবাদ আন্দোলন তৃণমূল সাংসদদের