সংক্ষিপ্ত
পুজো প্যান্ডেল থেকে খুলে ফেলা হচ্ছে 'শিরদাঁড়া'! শাসক দলের চাপ নয়তো? দাবি বিভিন্ন মহলের
আরজিকর-কাণ্ডের আবহে পুজোর থিমের জন্য বানানো হয়েছিল শিরদাঁড়া! কিন্তু এতে আপত্তি ওঠায় প্যান্ডেলের শিরদাঁড়ার জায়গা হচ্ছে কখনও আস্তাকুঁড়ে বা কখনও ত্রিপলের নিচে।
এবছর পুজোর থিম হিসাবে শিরদাঁড়াকেই বেছে নিয়েছিলেন রাজ্যের বেশ কয়েকটি পুজো কমিটি। বেলেঘাটার গান্ধী মাঠ ফ্রেন্ডস সার্কল, কেষ্টপুরের মাস্টারদা স্মৃতি সঙ্ঘ এবং হাওড়ার সাঁতরাগাছি কল্পতরু স্পোর্টিং ক্লাব ইত্যাদি কমিটিগুলি পুজোর থিম হিসাবে শিরদাঁড়াকে ব্যবহার করবেন ভেবেছিলান। কিন্তু এই নিয়ে বিতর্ক শুরু হওয়ায় এখন এই শিরদাঁড়ার ঠাই হচ্ছে আবর্জনার স্তূপে।
একই সমস্যায় পড়েছেন বেলেঘাটা গান্ধী মাঠ ফ্রেন্ডস সার্কেলের ৫১ তম পুজোতেও। এই পুজোতে থিম ছিল পরিবারের মেরুদণ্ড বাবা। উদ্যোক্তাদের বক্তব্য বাবা হলেন পরিবারের মেরুদণ্ড। কিন্তু চিরকালই অন্তরালে থেকে যান বাবারা। তাই এই বারের পুজো তাঁদেরকেই উৎসর্গ করবে এই ক্লাব। কিন্তু তারপরেই আরজিকরকাণ্ডের প্রতিবাদে শিরদাঁড়ার ব্যবহারের পরে এই থিমের মাধ্যমে কি অন্য কোনও বার্তা দেওয়া হচ্ছে?
এরপরেই শিরদাঁড়া সরিয়ে ফেলছে একের পর এক পুজো কমিটি। তবে এখনও এ প্রসঙ্গে মুখ খোলেননি পুজোর উদ্যোক্তারা। তবে শাসকদলের চাপেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে বলে দাবি করা হয়েছে বিভিন্ন মহল থেকে।
যদিও এই বিষয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি আসেনি। সঠিক কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি উদ্যোক্তাদের কাছ থেকেও। প্রসঙ্গত এই শিরদাঁড়া নিয়েই ব্যাপক হইচই শুরু হয়ে গিয়েছে চারিদিকে। কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে প্রতীকী শিরদাঁড়া উপহার দিয়েছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা। তাই পুজোর থিমেও শিরদাঁড়া নিয়ে বিতর্ক বেশ তুঙ্গে উঠেছে।