সংক্ষিপ্ত

পাল্টে গিয়েছিল তরুণীর গায়ের চাদর! বাবা-মায়ের বয়ান অনুযায়ী সবুজ চাদর ছবিতে নীল হল কী করে? সামনে এল ভয়ঙ্কর রহস্য

আরজিকর কাণ্ডে প্রথম থেকেই প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা চলছিল তা অনুমান করেছে সিবিআই। শুধু বাবা-মাই নয়, আন্দোলনকারীদেরও অনুমান যে প্রমাণ লোপাটের মারাত্মক ভাবে প্রচেষ্টা চলেছে। এবার সিবিআইয়ের হাতে এসেছে ভয়ঙ্কর তথ্য। যার থেকে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে যে তরুণীর ধর্ষণ ও খুনে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করা হয়েছে।

ঘটনার দিন সেমিনার রুমে একটি নীল ম্যাট্রেসের উপরে ড়ছিল চিকিৎসকের মৃতদেহ। কিন্তু শরীরের উপরে কী রঙের চাদর ছিল তাঁর? এই চাদরের রং বদলেছে বারবার। এমনকী চিকিৎসকেরা চাদরের যে রং বলেছেন আর তরুণীর বাবা-মা চাদরের যা রং বলেছেন তার মধ্যে যথেষ্ঠ পার্থক্য রয়েছে।

আরজিকরের জুনিয়র ডাক্তারদের বয়ান অনুযায়ী, তরুণীর গায়ে নীল রঙের চাদর চাপানো ছিল। সেমিনার রুম অর্থাৎ প্লেস অফ অকারেন্সের একটি ছবিও সামনে আসে যা সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সেই ছবিতেও নীল রঙের চাদরেই ঢাকা ছিল তরুণী চিকিৎসকের দেহ।

কিন্তু যখন বাবা-মা তাঁদের মেয়ের দেহ দেখতে পান তখন তাঁর গায়ে সবুজ রঙের চাদর ঢাকা ছিল বলে জানা গিয়েছে।

বাবা-মায়ের বয়ান অনুযায়ী এই চাদরের রং সবুজ ছিল বলে জানা গিয়েছে। হাসপাতাল থেকে ফোন পাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই দুপুর ১২ টা ১০ নাগাদ হাসপাতালে পৌঁছে যান মৃতার মা-বাবা। কিন্তু মেয়েকে দেখতে পান দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ। তাহলে ওই সময়ের মধ্যেই কি কেউ চাদর বদলে দিল?

তিলোত্তমার মা জানিয়েছেন, " তখন আমার মেয়ে বেডের উপর শুয়ে ছিল, পা দুটো ছড়ানো ছিল। কিন্তু গায়ে সবুজ চাদর ছিল, ছবিতে দেখলাম নীল চাদর।"

" ছবিতে একটা পা ম্যাট্রেসের বাইরে ডায়াসের উপরে রয়েছে। নিশ্চই আমার মেয়ের দেহ কেউ সরিয়েছে।"

মৃতার বাবা আরও দাবি করেছেন, " পুলিশের ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় ঘটনাস্থলে ছিলেন না। তাহলে জোরের সঙ্গে কী করে সত্যি বলেছেন? পুলিশ মিথ্যা কথা বলছে"

"কোনও ঘেরা ছিল না আমি সাড়ে তিনটের কথা বলছি, ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় যে কটা কথা বলছেন সব মিথ্যা। আমি বলেছিলাম আমি ছোঁব না, কিচ্ছু করব না, আমার মেয়ের মুখটা দেখতে দেয়নি। ওরা তখন দরজা বন্ধ করে ভেতরে কিছু একটা করছিল আর কী? প্রমাণ লোপাট করছিল, চাদরের রঙ বদলাল কী করে?"

এ প্রসঙ্গে প্রাক্ন সিবিআই কর্তা উপেন বিশ্বাস বলেন, " এই তদন্তের একটা চুল, সূচও যদি পরিবর্তন করা হয় তবে ধরতে হবে যে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা চলেছে। সলিসেটর জেনারেল তুষার মেহতা সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছেন, আমার পক্ষে তদন্ত করা মুশকিল, ক্রাইম সিন বদলানো হয়েছে"।