সংক্ষিপ্ত
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের দলে তাঁর ব্যক্তিগত আধিপত্যের প্রশ্ন সম্পূর্ণ উড়িয়ে দেন। তিনি বলেন দলের যাবতীয় সিদ্ধান্ত ঐক্যবদ্ধ হয়ে নেওয়া হয়।
তৃণমূল কংগ্রেসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্তরসুরী কে? নিজের আগের অবস্থান থেকে অনেকটাই সরে এলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এপ্রিল মাসে একটি টিভি চ্যালেনে দেওয়া সাক্ষাৎকার থেকে কিছুটা ভিন্নতম পোষণ করলেন সম্প্রতি একটি টিভি চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে। যাতে জল্পনা শুরু হয়েছে দলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবস্থান নিয়ে।
শুক্রবার একটি টিভি চ্যালেনে সাক্ষাৎকার দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই তিনি নিজের দলে তাঁর ব্যক্তিগত আধিপত্যের প্রশ্ন সম্পূর্ণ উড়িয়ে দেন। তিনি বলেন দলের যাবতীয় সিদ্ধান্ত ঐক্যবদ্ধ হয়ে নেওয়া হয়। সেই সাক্ষাৎকারে মমতাকে প্রশ্ন করা হয় , 'আপনার উত্তরসুরী কে?' সাবলীলভাবে তারও উত্তর দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।তিনি বলেন, 'তৃণমূল কংগ্রেস একটি সুশৃঙ্খল দল। যেখানে কোনও ব্যক্তি শর্ত দেবে না।' তিনি আরও বলেন, 'দল জনগণের জন্য কোনটি সেরা তা নিক্ধারণকরবে। আমাদের বিধায়ক, সাংসদ, বুথ কর্মী আছে, এটি একটি যৌথ প্রচেষ্টা।' এবার উত্তরসুরীর প্রশ্নে মমতা দলগত সিদ্ধান্তের কথা বলেন।
মমতা বন্দ্যোপায় ৮ মাস আগে অন্য একটি টিভি চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন। সেখানে তিনি হাইলাইট করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সেখানে তিনি বলেছেন, 'ছোটবেলা থেকে ওকে (অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়) তৈরি করেছি। ইয়ং জেনারেশনকেও তো দরকার। আমি তিনটে জেনারেশন তৈরি করে দিয়েছি। এটা আমার গর্ব। এই জেনারেশন যদি তৈরি করতে না পারি তাহলে আমার স্বপ্নের তৃণমূল কংগ্রেসকে কে রক্ষা করবে? আমি চাই আমার জোড়াফুলটা থাকবে। মা-মাটি-মানুষ স্লোগানটাও থাকবে।' তবে সম্প্রতি দেওয়া সাক্ষাৎকারে অভিষেককে সরাসরি উত্তরসুরী না বললেও মমতা ভাইপোর রাজনৈতিক বোধের তারিফ করেন। তিনি বলেন 'অভিষেক দলের ডেডিকেটেড সোলজার।'
সম্প্রতি দলে অভিষেককে প্রাশাসনিক দায়িত্ব দেওয়ার জন্য চাপ বাড়ছিল। সরব হয়েছিলেন অভিষেক ঘনিষ্ট সাংসদ সৌগত রায় ও হুমায়ুন কবীর। কিন্তু হুমায়ুন কবীরকে শোকজ করা হয়েছে। তারপর থেকে চুপ সৌগত। অন্যদিকে অভিষেক সম্প্রতি জানিয়েছিলেন দলের রদবদলের খসড়া তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আগেই দিয়েছেন। কিন্তু তারপরে কালীঘাটে বৈঠকের পরেও তা নিয়ে কিছু করা হয়নি। তাতেই স্পষ্ট দলের রাশ এখনও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতেই রয়েছে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।