সংক্ষিপ্ত

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ৪৩ জন চিকিৎসকের বদলি স্থগিত। স্বাস্থ্যদপ্তর জানিয়েছে এটি রুটিন কাজ, যদিও চিকিৎসকরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে বিজ্ঞপ্তি জারির ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই রাজ্যের ৪৩ জন চিকিৎসকের বদলির ওপর স্থগিতাদেশ জারি করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা জানিয়েছেন, তাঁকে না জানিয়েই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শুক্রবার স্বাস্থ্য দফতর রাজ্যের ৪৩ জন সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরে বদলির নির্দেশ দিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল। তারপরই গোটা রাজ্য জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে প্রবল চাপে পড়েই পিছু হাঁটল সরকার।

এদিন, স্বাস্থ্য দফতরের তরফে বলা হয়েছে, 'বদলির করার বিষয়টি রুটিন কাজ। এই ঘটনার আগেই এর প্রক্রিয়াটি চলছিল। ৯ অগাস্টের ঘটনার আগেই বদলির বিষয়টিও নিশ্চিত করে সংশ্লিষ্ট বিভাগ। কিন্তু এরপরও একাধিক কাজ থাকে। নামের বানান ঠিক আছে কি না, কোথায় পোস্টিং হবে তা চলতে থাকে। সেটার জন্য নির্দেশ প্রকাশ করতে কিছুটা সময় লেগেছে আমাদের। তবে সেটা ইস্যু হয়ে গেল। তবে আমরা ওই বদলি আপাতত আজ বাতিল করলাম। কারণ একাধিক হাসপাতালে এখন পরিষেবা বিঘ্নিত হয়ে যাবে। এটা নিয়ে বিতর্ক থাকা উচিত নয়। এটা রুটিন কাজ।'

এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে এও বলা হয়, 'রাজ্য সরকারের ২৪টি মেডিকেল কলেজ এবং আরও সুপারস্পেশালিটি হাসপাতাল আছে। ৬ হাজারের বেশি চিকিৎসক রয়েছে। তাঁদের প্রমোশন, রুটিন বদলি এগুলো একটা দীর্ঘসময়ের প্রক্রিয়া। এগুলো চলতে থাকে। এই ঘটনার সঙ্গে এর কোনও যোগসূত্র নেই। আমাদের এখন লক্ষ্য পরিষেবা যাতে সবজায়গায় সুষ্ঠু থাকে। তাই সেই বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিতেই বদলির সিদ্ধান্ত স্থগিত করা হল।'

যদিও রাজ্যের একাধিক চিকিৎসক সংগঠন এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছিল। ইউনাইডেট ডক্টর্স ফ্রন্ট অ্যাসোসিয়েশন সোশ্যাল মিডিায় বলেছে, তারা এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করছে। আরজি করকাণ্ডে চিকিৎসকদের প্রতিবাদে সামিল হয়েছে তাদেরই বদলি করা হয়েছে। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে তারা। সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। ' তারা তাদের পোস্টে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি রাজ্যপালের তারা অভিযোগ জানিয়েছে। তারা জানিয়েছে,' এই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা ব্যবস্থা আমাদের ন্যায় বিচার ও নিরাপত্তার দাবিগুলিকে স্তব্ধ করবে না। আমরা আমাদের লড়াইয়ে ঐক্যবদ্ধ ও দৃঢ়় প্রতিজ্ঞ থাকব।' অ্যাসোসিয়েশন অফ হেল্‌থ সার্ভিস ডক্টর্স-এর সাধারণ সম্পাদক উৎপল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'এখন সব ডাক্তারই এই ঘটনার প্রতিবাদে নেমেছেন। তার মধ্যে কেউ কেউ বেশি সক্রিয়। আমাদের প্রোমোশন আটকে আছে। এই রকম পরিস্থিতি চলছে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে। তার মধ্যে আমাদের বদলির নির্দেশ কেন?' রাজনৈতিক দলগুলিও দাবি করেছিল আরজি কর হাসপাতালের ঘটনার প্রতিবাদ করলেই রাজ্যের ৪৩ জন সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরে বদলি করা হয়েছে। যদিও নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে এই দাবি উড়িয়ে দেওয়া হয়।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।