সংক্ষিপ্ত
তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখা হয়েছে, আসন্ন রাজ্যসভার পনির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম ঘোষণা করা হচ্ছে।
সিপিএম থেকে বহিষ্কার হওয়া ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়কেই রাজ্যসভার প্রার্থী করল তৃণমূল কংগ্রেস। শনিবার তৃণমূল কংগ্রেসের সোশ্যাল মিডিয়ায় তেমনই ঘোষণা করা হয়েছে। ঋতব্রতকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ও। বর্তমানে ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি-র রাজ্য সভাপতি পদে রয়েছে। জহর সরকারের বদলি প্রার্থী হিসেবে ঋতব্রতকে রাজ্যসভায় পাঠাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস।
তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখা হয়েছে, 'আসন্ন রাজ্যসভার পনির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম ঘোষণা করা হচ্ছে। ওঁকে আমরা আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আশা করব উনি রাজ্যসভায় তৃণমূলের যোগ্য উত্তরাধিকার বহন করবেন। প্রত্যেক ভারতীয় অধিকারের কথা বলে যাবেন।' তারপরই ঋতব্রতকে সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি লিখেছেন, 'ঋতব্রত এই মর্যাদা পাওয়ার যোগ্য। রাজ্যজুড়ে দলের সংগঠনকে শক্তিশালী করা ও ট্রেড ইউনিয়নে কর্মীদের জন্য তিনি নিরলস পরিশ্রম করেছে। সময় লাগতে পরে। কিন্তু পরিশ্রমের দাম সবসময়েই পাওয়া যায়।' রাজ্যসভার প্রার্থী হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণা হওয়ার পরই ঋতব্রত সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের প্রতিক্রিয়া জনিয়েছেন। তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি পোস্ট করে লিখেছেন , 'তব চরণে নত মাথা'। আর কিছুই লেখেননি ঋতব্রত।
আরজি কর ইস্যুতে দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন তৎকালীন রাজ্যসভার সাংসদ জহর সরকার। তারপর তিনি রাজ্য়সভার পদ থেকেও ইস্তফা দেন। যদিও প্রার্থী হিসেবে তাঁর মেয়াদ এমনিতেও ফুরিয়ে এসেছিল। এবার সেই আসনেই প্রার্থী করে তৃণমূল কংগ্রেস পাঠাচ্ছে ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্য়ায় সিপিএম নেতা হিসেবে পরিচিত ও জনপ্রিয় ছিলেন। বামেরাও তাঁকে রাজ্যসভার প্রার্থী করে ২০১৪ সালে দিল্লি পাঠিয়েছিল। সুবক্তা হিসেবে পরিচিত ছিলেন। প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের ঘনিষ্ট হিসেবেই পরিচিত ছিলেন ঋতব্রত। আশুতোষ কলেজে থেকেই বাম ছাত্ররাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তবে ২০১৭ সালে মহিলা কেন্দ্রিক একটি বিতর্কিত ঘটনার জন্য় ঋতব্রতকে বহিষ্কার করেছিল সিপিএম। তারপরই ঋতব্রত তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন। ২০২১ সাল থেকেই তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসির রাজ্য সভাপতির দায়িত্ব সামলাচ্ছেন তিনি। এবার আরও বড় দায়িত্ব , রাজ্যসভার সাংসদের দায়িত্ব আসতে পারে তাঁর ওপর।