সংক্ষিপ্ত
নির্বাচন কমিশনের প্রশংসায় পঞ্চমুখ শুভেন্দু অধিকারী। তৃণমূলের জাতীয় দলের তকমা হারানো সঠিক পদক্ষেপ বলে জানালেন শুভেন্দু।
নির্বাচন কমিশন তৃণমূলের থেকে জাতীয় দলের তকমা কেড়ে নিয়েছে। শুধু তৃণমূল নয়, শরদ পাওয়ারের এনসিপি, সিপিআই-ও জাতীয় বা সর্বভারতীয় দলের মর্যাদা খুইয়েছে। পাল্টা কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টিকে জাতীয় দলের তকমা দেওয়া হয়েছে। তবে এই বিষয়টি নিয়ে বিজেপির শুভেন্দু অধিকার নির্বাচন কমিশনের পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা তিনি জানিয়েছে নির্বাচন কমিশনের এই পদক্ষেপ যথাযথ।
শুভেন্দু অধিকারীর বার্তা-
সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন তিনি মাননীয় প্রধান নির্বাচন কমিশনার শ্রী রাজীব কুমারকে ধন্যবাদ জানাচ্ছে। তিনি আরও বলেছেন, নির্বাচন কমিশন তৃণমূল কংগ্রেসের জাতীয় দলের তকমা খারিজ করে দিয়েছে। কথা প্রসঙ্গে শুভেন্দু ত্রিপুরার ঘটনার কথাও উল্লেখ করেন। বলেন,ত্রিপুরার নির্বাচনের পর তিনি এই সমস্যাটির কথা উল্লেখ করেছিলেন। কারণ সেই সময় থেকেই তৃণমূল কংগ্রেস জাতীয় দলের মাণদণ্ড পুরণ করেত ব্যর্থ হয়েছে। তাতে নির্বাচন কমিশনে তৃণমূলের জাতীয় দলের তকমা কেড়ে নিয়েছে। এদিন শুভেন্দু নিজের পুরনো একটি টুইটও শেয়ার করেন। যেখানে তিনি নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন তৃণমূলের জাতীয় দলের তকমা বাতিল করা হোক। কারণ তৃণমূল সেই মানদণ্ড পুরন করতে পারেনি।
যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এখনও এই বিষয়ে নিয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত
নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বর্তমানে দেশে ৬টি জাতীয় দল রয়েছে- বিজেপি, কংগ্রেস, বিএসপি, সিপিআই(এম), এনপিপি, এএপি। সোমবার নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করেছে উত্তর প্রদেশেরর আরএলডি, অন্ধ্র প্রদেশের বিআরএস, মণিপুরের পিডিএ, পুদুচেরির পিএমএ, পশ্চিমবঙ্গের আরএসপি ও মিজোরামের এমপিসি-র রাজ্য মর্যাদা হারিয়েছে।
তৃণমূলের যাত্রাপথ
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১৯৯৮ সালে কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে গিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস তৈরি করেছিলেন। ২০১৬ সালে তৃণমূল কংগ্রেস জাতীয় দলের মর্যাদা পেয়েছিল। ২০১১ সালে পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতা দখল করে। তবে ২০১৪ সালে রাজ্য দলের মর্যাদা পেয়েছিল। মাত্র সাত বছরেই তৃণমূল জাতীয় দলের মর্যাদা হারাল। সম্প্রতি গোয়া ও উত্তর -পূর্বের রাজ্যগুলিতে তৃণমূলের খারাপ ফলাফলই এর জন্য দায়ী।
জাতীয় দলের তকমা হারানোর সমস্যা
আগামী দিনে ভিন রাজ্যে নির্বাচনে লড়াই করার জন্য তৃণমূল ঘাসফুল প্রতীপ পাবে না। নির্বাচন কমিশনই তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতীক স্থির করবে। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, সংশ্লিষ্ট দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে পুঙ্খানুপুঙ্খ পর্যালোচনা ও আলোচনার পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একটি জাতীয় দলের ট্যাগ একটি সংস্থাকে সারা দেশে একটি সাধারণ নির্বাচনী প্রতীক পেতে, আরও তারকা প্রচারক, নির্বাচনী প্রচারণার জন্য জাতীয় সম্প্রচারকদের বিনামূল্যে এয়ার টাইম এবং দিল্লিতে কনভেনশন অফিস স্পেসের অনুমতি দেয়।