সংক্ষিপ্ত

রবিবার দিদির দূত হয়ে মহম্মদবাজার পঞ্চায়েতের ফুল্লাইপুরে যান শতাব্দী রায়। এখানে সাংসদের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন গ্রামবাসী।

ফের বিক্ষোভের মুখে দিদির দূতরা। রামপুরহাটের পর এবার মহম্মদবাজারে সাধারণ মানুষের ক্ষোভের মুখে বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায়। রবিবার মহম্মদবাজার পঞ্চায়েতের ফুল্লাইপুরে শতাব্দী রায়ের গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখায় আম জনতা। দিদির সুরক্ষাকবচ কর্মসূচীতে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার বিক্ষোভের মুখে পড়লেন 'দিদির দূত' হয়ে আসা শতাব্দী রায়। পঞ্চায়েত ভোটের আগে দিদির সুরক্ষা কবচ ও দিদির দূত কর্মসূচিতে দিকে দিকে অসন্তোষের চিত্র ফুঁটে উঠছে। এর আগেও রামপুরহাটে একই ঘটনার শিকার হতে হয়েছিল সাংসদকে। ঘটনার এক মাসের মাথায় ফের একই ঘটনার পূণরাবৃত্তি।

রবিবার দিদির দূত হয়ে মহম্মদবাজার পঞ্চায়েতের ফুল্লাইপুরে যান শতাব্দী রায়। এখানে সাংসদের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন গ্রামবাসী। অভিযোগ বছর পার হলেও মেটেনি এলাকার দীর্ঘদিনের পানীয় জলের সমস্যা। এছাড়াও সেচের জলের অভাবে ক্ষতিগ্রস্থ চাষবাস, সেই কথাও জানান তাঁরা। উত্তেজিত জনতার রোষের মুখে পড়তে হয় তৃণমূল সাংসদকে। গ্রামবাসীর চিৎকার চেঁচামেচিতে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

প্রসঙ্গত, এর আগেও দিদির দূত হয়ে এসে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল সায়ন্তিকাকে। মুখ্যমন্ত্রীর রক্ষাকবচ কর্মসূচিতে উঠে আসছে মানুষের অসন্তষ। উল্লেখ্য এই দিনই শাসকদলের মিছিল থেকে রাজ্য সরকারের পানীয় জল প্রকল্পের সাফল্যের কথা তুলে ধরে স্লোগান দেওয়া হয়,'ঘরে ঘরে পানীয় জল পৌঁছে দিল কে? মমতা ব্যানার্জি আবার কে।' কিন্তু এরপরই গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলায় অন্য চিত্র উঠে এল। দিকে দিকে মানুষের অসন্তোষ। বাঁকুড়া দুনম্বর ব্লকের জুনবেদিয়া গ্রামে যান তৃণমূলের তারকা নেত্রী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই তাঁকে ঘিরে ধরে নিজেদের অভাব অভিযোগের কথা জানান গ্রামবাসীরা। রাজ্য সরকারের জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরের ঘরে ঘরে পানীয় জল পরিষেবা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করায় উত্তরে গ্রামবাসীরা জানান এক বছর ধরে জল পাচ্ছেন না তাঁরা। জল সমস্যার পাশাপাশি রাজ্যের আবাস প্রকল্প নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। আবাস প্রকল্পে বাড়ি না পাওয়ার অভিযোগও জানান তৃণমূল নেত্রীকে। সায়ন্তিকা গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের সমস্যা বোঝার চেষ্টা করেছেন এবং গোটা ব্যপারটির দ্রুত নিষ্পত্তির আশ্বাস দিয়েছেন।