সংক্ষিপ্ত
কেন্দ্রীয় বাজেটে ভরিয়ে দেওয়া হয়েছে প্রতিবেশী রাজ্য বিহারকে। বিহারের উন্নয়নের দিকে যতটা জোর দেওয়া হয়েছে তার শিকিভাগও নেই বাংলার দিকে।
নরেন্দ্র মোদীকে তৃতীয়বার সরকার গঠন করতে বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন বিহারের নীতিশ কুমার ও অন্ধ্রপ্রদেশের চন্দ্রবাবু নায়ডু। জোট শরিকদের অনেক দাবিদাওয়া ছিল। সেগুলির কোনও মিটিয়েছিলেন কোনও আবার মেনে নেননি নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু সেই সব দেনা পাওয়া কেন্দ্রীয় বাজেট ২০২৪ এর পুরাণ করে দিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। তেমনই দাবি তুলেছে বিরোধীরা, বিশেষ করে তৃণমূল কংগ্রেস। নীতিশকে খুশি করতে বিমানবন্দর, সেতু এক্সপ্রেসওয়ে, মেডিক্যাল কলেজ -সহ বন্যা মোকাবিলায় প্রচুর টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র। আর চন্দ্রবাবু নায়ডুর স্বপ্নপুরণে বরাদ্দ হয়েছে ১৫০০০ কোটি টাকা। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে এই রাজ্য , পশ্চিমবঙ্গের জন্য বাজেট বরাদ্দ কী কী।
এক নজরে দেখে নিন কেন্দ্রীয় বাজেট ২০২৪-এ পশ্চিমবঙ্গের জন্য বরাদ্দ হয়েছে কী কীঃ
১। গ্রামোন্নয়নে জোর
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ বাজেটে ঘোষণা করেছেন, প্রত্যেক বাড়ির একজনকে ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে স্থান দেওয়া হবে। দেশের পূর্ব দিকের চার রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদের, বিহারের উন্নয়নের জোর দিয়েছে কেন্দ্র। গ্রামোন্নয়নের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ২.৬৬ কোটি টাকা।
২। কলকাতা অমৃতসর ইন্ডাস্ট্রিয়াল করিডোর
ঘোষণা করা হয়েছে অমৃতসর-কলকাতা ইন্ডাস্ট্রিয়াল করিডরের। অর্থমন্ত্রী জানান, অমৃতসর -কলকাতা ইন্ডাস্ট্রিয়াল করিডরে বিশেষ জোর দেওয়া হবে। ইন্ডাস্ট্রিয়াল মডেল তৈরি হবে গয়ায়। এই মডেল একইসঙ্গে ঐতিহ্য ও ভবিষ্যতের বিকাশের পথ দেখাবে। যদিও এই প্রকল্পে সবথেকে বেশি জোর দেওয়া হয়েছে বিহারের গয়াকে। কারণ সেখানেই তৈরি হবে মডেল শিল্পকেন্দ্র।
৩। পূর্বোদয় প্রকল্প
পূর্ব ভারতের উন্নয়নকে জোর দিয়েছে কেন্দ্র সরকার। বাজেট ঘোষণায় জানিয়েছেন নির্মলা সীতারমণ। পূর্বোদয় প্রকল্পের অধীনে পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলির উন্নয়ন হবে। এই প্রকল্পের আওতায় রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা।
বাংলার জন্য এবার বাজেটে বিশেষ কোনও প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়নি। বিহারে যেখানে বন্যা মোকাবিলায় ১২ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে সেখানে বাংলার ঘাটালের জন্য কোনও বরাদ্দ করা হয়নি। প্রত্যেকবার বর্ষায় বানভাসি হয় উত্তরবঙ্গে। উত্তরবঙ্গের জন্যও কোনও টাকা বরাদ্দ করা হয়নি। বাংলার দীর্ঘদিনের দিনের দাবি ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান কার্যকর করার। স্থানীয় সাংসদ দেব বা দীপক অধিকারী, সংসদের শেষ ভাষণে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের দাবিও তুলেছিলেন। কিন্তু নির্মলা সীতারমণ যে তা কানেও তোলেননি তা স্পষ্ট হয়ে গেল বাজেটে বাংলার বঞ্চনা থেকেই।