সংক্ষিপ্ত
আপাতত স্বস্তির পূর্বাভাস নেই। ভারতের আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে আগামী চার দিন গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি থাকবে।
কবে স্বস্তি মিলবে- আট থেকে আশি এই প্রশ্নটাই ঘুরে ফিরে আসছে সকলের মুখে। কিন্তু মৌসম ভবন এখনও পশ্চিমবঙ্গবাসীর জন্য সুখবর দিতে পারেনি। ভারতের কিছু অংশের সঙ্গে দেশের উত্তর পশ্চিম অঞ্চলে তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও বিহারে আগামী চার দিনের জব্য তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি দেখা যেতে পারে। সিকিম, ওড়িশা ও ঝাড়খণ্ডে আগামী দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে তাপপ্রবাহ হতে পারে।
এদিন থেকে পঞ্জাব ও হরিয়ানার বিচ্ছিন্ন পকেটে ও ১৮ এপ্রিল পশ্চিম উত্তর প্রদেশের অনুরূপ পরিস্থিতি প্রত্য়াশিত। পুর্ব উত্তর প্রদেশেও ১৮-১৯ এপ্রিল প্রভাবিত হতে পরে একই অবহাওয়া। ভারতের আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের বিচ্ছিন্ন পকেটে গত ৬ দিন,অন্ধ্র প্রদেশের উপকূলবর্তী এলাকার গত ৪ দিন বিহারে গত ৩ দিন ধরেই তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হয়ে রয়েছে। যা ক্রমেই খারাপের দিকে যাচ্ছে।
মৌসম ভবন জানিয়েছে, পশ্চিম হিমালয়ে অঞ্চলে সক্রিয় একটি পশ্চিমা ঝঞ্ঝা রয়েছে। যা উত্তর - পশ্চিম ভারতের সমভূমি এলাকায় তাপমাত্রা কমাতে সাহায্য করবে। যাতে স্থানীয় বাসিব্দারা স্বস্তি পাবে। পঞ্জাব, হরিয়ানা, দিল্লি, রাজস্থানে ১৮-২০ এপ্রিলের মধ্যে বিচ্ছিন্নভাবে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের জন্য আপাতত বৃষ্টির কোনও পূর্বাভাস দেয়নি হাওয়া অফিস। ১৮ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীর ও লাদাখে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী দুই তিন দিনের মধ্যে হিমালচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড ও পঞ্জাবে বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।
মৌসমভবন জানিয়েছে, তাপপ্রবাহ তখনই হয়, যখন সমভূমি এলাকার তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মাত্রা অতিক্রম করে। উপকূলবর্তী এলাকার জন্য তাপপ্রবাহের মান ৩৭ ডিগ্রি। পার্বত্য অঞ্চলে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রাই তাপপ্রবাহের সূচক ধরা হয়। স্বাভাবিক তাপমাত্রার থেকে ৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বেশি থাকতে হবে।
এই মাসের শুরুর দিকেই হাওয়া অফিস উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ও উপদ্বীপ এলাকা ছাড়া গোটা দেশেই তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছি। শুধু এপ্রিল নয় জুন মাস পর্যন্ত এই অস্বস্তিকর অবহাওয়া আমাদের সঙ্গী হবে বলেও জানিয়ে দিয়েছিল। এই সময়ের মধ্য, পূর্ব, ও উত্তর-পশ্চিম ভারতের বেশিভাগ এলাকাই তাপপ্রবাহের সাক্ষী থেকেছে।
কলকাতায় এদিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের তুলনায় ৪ ডিগ্রি বেশি। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৯.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস- স্বাভাবিকের তুলনায় ৩ ডিগ্রি বেশি। দিনে রাতে প্রবল অস্বস্তিই সঙ্গী শহরবাসীর। কারণ বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ৬৩ শতাংশ। তবে দমদমে এদিনও তাপপ্রবাহ হয়েছে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১. ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের তুলনায় ৬ ডিগ্রি বেশি। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৫২ শতাংশ।