সংক্ষিপ্ত

শনিবার থেকে বৃষ্টি শুধু হয়েছে শিলিগুড়িতেও। শিলিগুড়ি ও সংলগ্ন একাধিক এলাকা ভারী বৃষ্টির জেরে জলমগ্ন।

শুধু দক্ষিণবঙ্গ নয় বৃষ্টির বাড়ছে উত্তরেও। গত বুধবার রাত থেকেই মুশলধারে বৃষ্টি শুরু হয়েছে উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায়। শনিবার থেকে আরও তীব্র হয়েছে বৃষ্টি। আলিপুর সূত্রে জানা যাচ্ছে রবিবার উত্তরবঙ্গের সবকটি জেলায় আরও বাড়বে বৃষ্টি। সোমবারও বৃষ্টির পূর্বাভাস দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার-সহ উত্তরের আটটি জেলায়। বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে বলেও মনে করছে হাওয়া অফিস। শনিবার থেকে বৃষ্টি শুধু হয়েছে শিলিগুড়িতেও। শিলিগুড়ি ও সংলগ্ন একাধিক এলাকা ভারী বৃষ্টির জেরে জলমগ্ন। সেদিন রাত থেকেই রাত থেকে পাহাড় এবং সমতলে আবার ভারী বৃষ্টি শুরু হয়।

আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, আগামী ২৯ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আন্দামান উপকূলের কাছে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই ঘূর্ণাবর্ত ধীরে ধীরে শক্তি বাড়িয়ে প্রবল আকার ধারণ করতে পারে অক্টোবরের শুরু থেকেই। নিম্নচাপে পরিণত হলে তা ব্যাপক বৃষ্টিপাত ঘটাবে বাংলা, ওড়িশা এবং অন্ধ্র উপকূলে। ভারতের তরফ থেকে আসন্ন ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেওয়া হয়েছে ‘তেজ’ (Cyclone Tej)যার জেরে শরতের উৎসবের মরশুম ভারী দুর্যোগে হতে পারে টালমাটাল।

আবহাওয়াবিদরা মনে করছেন যে, ৫ অক্টোবরের মধ্যে একটি শক্তিশালী ঘূর্ণাবর্ত প্রভাব ফেলতে পারে গোটা পূর্ব ভারত জুড়ে। সাইক্লোনের তাণ্ডবে দুর্গাপুজো বা দশহরা-র পরিস্থিতি তাহলে কী হবে, তা নিয়েই আশঙ্কায় পড়েছে বহু রাজ্য। তবে, নিম্নচাপ তৈরি হলে তা কোন দিকে অভিমুখ করে এগোবে, বা বিরাট আকারের ঘূর্ণিঝড় বাংলার ওপর আছড়ে পড়বে কিনা, তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত মৌসম ভবনের তরফ থেকে নিশ্চিত করে কিছু জানানো হয়নি। একাধিক আবহাওয়া সংক্রান্ত গবেষণায় এই ঘূর্ণিঝড়ের আগমনী বার্তা ধরা পড়েছে। উত্তর অন্ধ্র প্রদেশ এবং ওড়িশার দক্ষিণ উপকূলে সাইক্লোন ‘তেজ’ সবথেকে বেশি তাণ্ডব চালাতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।