সংক্ষিপ্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, মাদ্রাসা, যেখানে মুললিস ধর্মের শিক্ষা দেওয়া হয়। আমরা এইসব প্রতিষ্ঠানের কাজে হস্তক্ষেপ করব না। সার্ভে শুধুমাত্র সেইসব মাদ্রাসাগুলিতেই হবে যারা রাজি থাকে।

 

মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীদের সুযোগ বৃদ্ধি করা হবে বলে এদিন নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ সরকার অনুদানবিহীন খারেজি মাদ্রাসাগুলির সার্ভে করার জন্য একটি উচ্চ-ক্ষমতা সম্পন্ন কমিটি গঠন করেবে। তবে মাদ্রাসাগুলি যদি চায় তাহলেই এই সার্ভে হবে বলেও জানিয়েছেন মমতা।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, 'মাদ্রাসা, যেখানে মুললিস ধর্মের শিক্ষা দেওয়া হয়। আমরা এইসব প্রতিষ্ঠানের কাজে হস্তক্ষেপ করব না। সার্ভে শুধুমাত্র সেইসব মাদ্রাসাগুলিতেই হবে যারা রাজি থাকে। সমীক্ষার জন্য একটি উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন কমিটি গঠন করা হবে। যা ৬ মাস পরে একটি প্রতিবেদন জমা দেবে।' তিনি আরও বলেছেন মাদ্রাসার অভ্যন্তরীণ কাজে হস্তক্ষেপ করা সরকারের উদ্দেশ্য নয়, সরাকের উদ্দেশ্য হল যাতে মাদ্রাসার পড়ুয়ারা রাজ্য সরকারের উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলির সুযোগ সুবিধে পেতে পারে। পড়ুয়াদের কল্যাণমূলক প্রকল্পের আওতায় আনাই সরকারের একমাত্র উদ্দেশ্য।

মমতা বলেন, 'উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন কমিটিতে থাকবে বিশেষজ্ঞরা। শিক্ষাবিদ, সংশ্লিষ্ট সরকারি দফতরের কর্মী ও স্থানীয় মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা।' তিনি বলেছেন রাজ্যে অস্বীকৃত মাদ্রাসার সংখ্যা ৭০০। তিনি আরও বলেছেন, ২০১৩-১৪ সালে স্বীকৃতির জন্য আবেদন করেছিল। যারা মানদণ্ড পুরণ করেছিল সেই সমস্ত মাদ্রাসাকে স্বীকৃতি দিতে চায় রাজ্য সরকার। তাই এই সমীক্ষার প্রয়োজন রয়েছে।

এই রাজ্যে অনুদানহীন মাদ্রাসাগুলি দীর্ঘদিন ধরেই স্বীকৃতির দাবি জানিয়েছিল। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়েরও এই দাবি দীর্ঘ দিনের। বাংলার মোট ভোটারের ৩২ শতাংশ মুসলিম ভোটার। যারা বামদের সরিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে ক্ষমতায় এনেছিল। কিন্তু বর্তামেন রাজ্যের সংখ্যালঘু ভোটাররা কিছুটা হলেও দূরে সরে যাচ্ছে বলেও অনেকে মনে করছে। যদিও ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তেমন কোনও ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। তবুও লোকসভা নির্বাচন আসন্ন। যা তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। সরকারি সূত্রের খবর অস্বীকৃত মাদ্রাসাগুলিকে সরকারি নজরদারির আওতায় আনার জন্যই এই সমীক্ষার।

এদিন নবান্ন থেকে করম পুজো ও শবে বরাতে পূর্ণ দিবস ছুটির কথা ঘোষণা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'রাজ্যে সব কমিউনিটির জন্য ছুটি দেওয়া হয়। দুর্গাপুজোর ছুটি সব কমিউনিটির জন্য। সেরকমই ইদের ছুটিও সব ধর্মের মানুষ পায়। যদিও করম পুজো ও শবে বরাতে সেকশনাল ছুটি ছিল। দীর্ঘ দিনের দাবি ছিল এই দুটি দিনকে স্টেট হলিডে করার দাবি ছিল। এবার সেটাও স্টেট হলিডে ঘোষণা করেছি।' তিনি বলেন, রাজ্যের মনুষ ভাল কাজ করে সেই জন্যই তাদের এই ছুটি প্রাপ্য। পাশাপাশি কেন্দ্রের বিরুদ্ধেও তীব্র আক্রমণ করেন মমতা।