সংক্ষিপ্ত

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে এখনও চাকরি দেওয়া নিশ্চিত করে কোনও আশ্বাস আসেনি। তাই ১৯ তারিখের মহামিছিলে অংশগ্রহণ করছে ‘২০১৪-র প্রাইমারি টেট পাশ ট্রেন্ড নট ইনক্লুডেড একতা মঞ্চ’। 

পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষা ক্ষেত্রে চাকরি নিয়ে শোরগোল অব্যাহত। একটানা দীর্ঘ দিন যাবৎ প্রতিবাদ বিক্ষোভের পরে এবার মহাজোট গড়লেন শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর পদপ্রার্থীরা। ৯টি সংগঠন একজোট হয়ে ১৯ ডিসেম্বর, সোমবার কলকাতায় হতে চলেছে একটি মহামিছিল। তবে, প্রত্যেকের লক্ষ্য এক হলেও, গন্তব্যে পৌঁছনোর উপায় নিয়ে তৈরি হয়েছে মতভেদও। সোমবারের প্রস্তাবিত মহামিছিল নিয়ে কর্মপ্রার্থীদের মধ্যে বিভাজন এই প্রথম প্রকট হয়ে উঠল। রাস্তায় অবস্থান-বিক্ষোভে বসা কর্মপ্রার্থীদের কয়েকটি সংগঠন জানিয়ে দিয়েছে, তারা এই মহামিছিলে যোগ দিচ্ছে না। তারা পৃথকভাবে নিজস্ব কর্মসূচি পরিচালনা করবে।

নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণিতে শিক্ষক পদপ্রার্থীদের সংগঠন ‘যুব ছাত্র অধিকার মঞ্চ’ অংশগ্রহণ করছে আজকের মহামিছিলে। তবে, আরেকদিকে মিছিলে অংশ নেবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে নবম-দ্বাদশের চাকরিপ্রার্থীদের অপর একটি সংগঠন ‘বঙ্গীয় ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা মঞ্চ’। উল্লেখ্য, এই দুই মঞ্চের লক্ষ্য একই। কিন্তু দাবি আদায় করে নেওয়ার পথ ভিন্ন।

বঙ্গীয় ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা মঞ্চের প্রতিনিধি ইলিয়াস বিশ্বাসের কথায়, ‘‘আমরা এখন সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করছি। সরকার আমাদের চাকরি দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তাই আমরা মিছিলে হাঁটছি না। গান্ধী-মূর্তির পাদদেশে আমরা যেমন অবস্থান-বিক্ষোভ চালাচ্ছি, তেমনটাই চালিয়ে যাব। অবস্থানের পাশাপাশি সরকারের সঙ্গে আলোচনাও চলছে।’’

কিন্তু, অন্যদিকে, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে এখনও চাকরি দেওয়া নিশ্চিত করে কোনও আশ্বাস আসেনি। তাই ১৯ তারিখের মহামিছিলে অংশগ্রহণ করছে ‘২০১৪-র প্রাইমারি টেট পাশ ট্রেন্ড নট ইনক্লুডেড একতা মঞ্চ’। ওই মঞ্চের পক্ষ থেকে অচিন্ত্য সামন্ত জানিয়েছেন, ‘‘যারা অংশগ্রহণ করছে না, তাদের বিষয়ে কোনও মন্তব্য করব না। আমরা সরকারের থেকে সে-রকম কোনও আশ্বাস পাইনি।’’

মিছিলে যেতে ইচ্ছুক ন’টি সংগঠনের প্রতিনিধিদের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে দ্রুত চাকরিতে নিয়োগের ব্যবস্থা করুন। এই দাবিতেই সোমবার মহামিছিল করা হবে। কিন্তু, দুটি আলাদা পক্ষের মতবিরোধের জেরে চাকরি আদায় করার আন্দোলন কতটা জোরদার হবে, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে বিশেষজ্ঞ মহলের।


আরও পড়ুন-
কুয়াশার কোপে বছরের পর বছর ধরে ভুক্তভোগী হরিয়ানা, একই দিনে দুর্ঘটনার কবলে ৩০টি গাড়ি
শুধুমাত্র জেইই মেন নয়, দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষাতেও ছাত্রছাত্রীদের পেতে হবে ৭৫ শতাংশ নম্বর
মার্বেল কাটার মেশিন দিয়ে বৃদ্ধাকে কেটে ১০ টুকরো, রাজস্থানে ভয়াবহ কাণ্ড ঘটালেন শিক্ষিত যুবক