সংক্ষিপ্ত

বিরোধীদের খড়কুটোর মত উড়িয়ে দিয়ে ২০টি জেলা পরিষদই নিজেদের দখলে রাখল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেস। উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম- ঘাসফুল শিবিরের জয় অব্যাহত রয়েছে।

বিরোধীদের খড়কুটোর মত উড়িয়ে দিয়ে ২০টি জেলা পরিষদই নিজেদের দখলে রাখল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেস। উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম- ঘাসফুল শিবিরের জয় অব্যাহত রয়েছে। কোনও জেলা পরিষদেই দাঁত ফোটাতে পারেনি বিরোধীরা। নির্বাচনের আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়েক তৃণমূল নবজোয়ার কর্মসূচির পাশাপাশি জনসংযোগ যাত্রার কারণেই এই বিশাল সাফল্য কিনা তা নিয়ে কাটাছেঁড়া শুরু করতে পারে বিরোধী শিবির। যদিও বিরোধীদের অভিযোগ ভোট সন্ত্রাসের কারণেই এই সাফল্য তৃণমূলের ঘরে। বিরোধী শূন্য ৮টি জেলা পরিষদ।

জেলা পরিষদের ৯২৮টি আসনের মধ্যে তৃণমূলের দখলে রয়েছে ৮৭০টি আসন। আটটি জেলা পরিষদের বিরোধীরা কোনও আসন জয় করতে পারেনি। তবে বাকিগুলিতেও বিরোধীদের অবস্থা সঙ্গীন। বিরোধীরা অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে শাসকদলের থেকে। কুড়িটি জেলা পরিষদের মধ্যে সবথেকে বেশি নজর ছিল শুভেন্দু অধিকারীর গড় হিসেবে পরিচিত পূর্ব মেদিনীপুরের। তবে এই জেলা পরিষদও তৃণমূলের দখলে রয়েছে ৭০টি আসনের মধ্যে তৃণমূল পেয়েছে ৫৬টি। মাত্র ১৪টি পেয়েছে বিরোধীরা। অন্যদিকে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, আলিপুরদুয়ার-সহ ৮টি জেলা পরিষদে বিরোধীরা কোনও আসন পায়নি।

অন্যদিকে ভোট গণনা চলাকালীন গতকাল রাতেই টুইট করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পঞ্চায়েত ভোটে বিপুল মার্জিনে জয়ের জন্য শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ফেসবুকে লিখেছেন, ‘সকল মা-মাটি-মানুষকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। গ্রাম বাংলায় পুনরায় বিকশিত জোড়াফুল। এই পঞ্চায়েত নির্বাচনে আপনাদের অভূতপূর্ব সমর্থন, অকুণ্ঠ ভালবাস এবং অপার আশীর্বাদে আমি তথা আমার গোটা তৃণমূল কংগ্রেস পরিবার কৃতজ্ঞ।’ ফেসবুকে মমতা আরও লিখেছেন, ‘এই জয় আমার প্রণম্য গণদেবতার জয়। এই নির্বাচন আবারও প্রমাণ করলো, বাংলার মানুষের হৃদয়ে তৃণমূল কংগ্রেসই আসীন।’

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ের ক্ষেত্রেও বিরোধীদের অনেকটাই পিছয়ে ফেলে এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।

গ্রাম পঞ্চায়েত -রাজ্যে মোট গ্রাম পঞ্চায়েতের আসন ৬৩ হাজার ২২৯। তারমধ্যে ৮ হাজার ২টি আসনে প্রার্থী দিতে পারেনি বিরোধীরা। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস জয়ী হয়েছে ৭৯৪৪টি আসনে।

পঞ্চায়েত সমিতি -রাজ্যে মোট পঞ্চায়েত সমিতির আসন ৯৭৩০। তারমধ্যে ৯৯১টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে একাধিক রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা। তৃণমূল কংগ্রেস বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে ৯৮১টি আসনে।

জেলা পরিষদের সব আসনেয়ই প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে। যার অর্থ পঞ্চায়েত নির্বাচনে গণনা শুরুর অনেক আগে থেকেই নির্বাচনে এগিয়ে রয়েছে ঘাসফুল শিবির।