সংক্ষিপ্ত
Jobless Teachers News: সুপ্রিম কোর্টের রায়ে মুহুর্তের মধ্যে চাকরি চলে গিয়েছে ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের। যোগ্য-অযোগ্য বাছাই করা সম্ভন হয়নি, তাই একযোগে চাকরি হারিয়েছেন বাংলার হাজার হাজার শিক্ষক। বিস্তারিত জানতে সম্পূর্ণ প্রতিবেদন পড়ুন…
Jobless Teachers News: সুপ্রিম কোর্টের রায়ে মুহুর্তের মধ্যে চাকরি চলে গিয়েছে ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের। যোগ্য-অযোগ্য বাছাই করা সম্ভন হয়নি, তাই একযোগে চাকরি হারিয়েছেন বাংলার হাজার হাজার শিক্ষক। পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৬ সালের SLST-এর মাধ্যমে চাকরির পরীক্ষায় বসেছিলেন মোট ২২ লক্ষ পরীক্ষার্থী। তাঁদের মধ্যে চাকরি পেয়েছিলেন ২৫ হাজার ৭৫৩ জন।
এদিকে সুপ্রিম কোর্টের রায় বলছে চাকরিহারাদের মধ্যে রয়েছে ৭ হাজার প্রায় অযোগ্য। অর্থাৎ ভালো করে বুঝিয়ে বললে যেটা দাঁড়ায় সেটা হল এই ২২ লক্ষের মধ্যে মাত্র ১৯ হাজার জন শিক্ষক সঠিক পদ্ধতিতে নিয়ম মেনে পরীক্ষা দিয়ে চাকরি পেয়ে এতদিন স্কুলে শিক্ষকতা করছিলেন। এবার সবথেকে বড় প্রশ্ন হল এই ১৯ হাজার জন প্রার্থী আদেও কী চাকরিটা পেতেন! যদি না ৭ হাজার অযোগ্যকে হাইস্কুলের চাকরিতে নিয়োগ না করা হত! এটাই এখন সবথেকে বড় প্রশ্ন।
একসঙ্গে এতসংখ্যক চাকরি বাতিলের পরিসংখ্যান হিসেব করলে দেখা যাচ্ছে যে, ২২ লক্ষের মধ্যে যদি ১৯ হাজার চাকরি প্রার্থী সততা যোগ্যতার বিনিময়ে চাকরি পেয়ে থাকেন তাহলে তাঁদের সঙ্গে আরও ৭ হাজারকে জুড়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে এই যোগ্যতার মাপকাঠিতে ১৯ হাজার জন যে স্বচ্ছ ভাবে পরপর রয়েছে বা বাকি ৭ হাজার জন ১,২,৩,৪ করে পরপর নেই তা বলা প্রায় অসম্ভব। কারণ তারা টাকার বিনিময়ে চাকরি পেয়েছেন। ফলে OMR শিট যদি প্রকাশ করা হয় তাহলে ২২ লক্ষ পরীক্ষার্থীরই ওএমআর শিটের মিরর ইমেজ প্রকাশ করা উচিত। তবেই না সামনে আসবে কে আসল অপরাধী।
অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে গত সোমবার নেতাজি ইন্ডোরে বৈঠকের পরও বেরোয়নি কোনও সমাধান সূত্র। এখনও অথৈ জলে চাকরিহারাদের ভবিষ্যৎ। SSC ভবন অভিযান, DI অফিস অভিযানেও মেটেনি সমস্যা। উল্টে জুটেছে মার। এই পরিস্থিতিতে শনিবার থেকে ধর্মতলার গান্ধীমূর্তির পাদদেশে ধর্নায় বসেছেন যোগ্য চাকরিহারারা।
তাঁদের দাবি, যতক্ষণ না পর্যন্ত যোগ্য-অযোগ্য বাছাই হচ্ছে, ২২ লক্ষের ওএমআর শিট প্রকাশিত হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের এই অবস্থান বিক্ষোভ চলবে। যদিও এখনও পর্যন্ত বহাল তবিয়তে রয়েছেন ৭ হাজার জালি শিক্ষকরা। কারণ, সুপ্রিম নির্দেশে এখনও পর্যন্ত তাঁদের চাকরি চলে গিয়েছে। জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়নি। টাকার বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার অভিযোগে যদি পার্থ-সুবীরেশ-কল্যাণময়ের জেল হতে পারে তাহলে এদের নয় কেন? আইনের চোখে ঘুষ নেওয়া আর দেওয়া দুটোই সমান অপরাধ। যদিও এই সাতহাজার জালি শিক্ষকের ভবিষ্যৎ কী হবে তার উত্তর অবশ্য সময় দেবে!
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।