সংক্ষিপ্ত
২০২৫ সালের প্রথম দিনে, কলকাতা এবং রাজ্যের আশেপাশের অঞ্চলের আবহাওয়ায় একটি আমূল পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। এখানে আবার শীত তার দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করেছে। চমৎকার আবহাওয়ার জন্য এই মহানগরীতে হঠাৎ করেই উৎসব মৌসুমে শীত অনুভূত হতে শুরু করেছে, যা বাংলার এই আবহাওয়ার জন্য উৎসবের আমেজকে আরও দ্বিগুণ করে দিয়েছে।
কলকাতার আবহাওয়া:
কলকাতায় ঠাণ্ডা বাতাস বইছে। যার জেরে ১ জানুয়ারি, ২০২৫ এই মরশুমের সবচেয়ে ঠান্ডা দিন হিসেবে সাক্ষী থাকছে। আজ বছরের প্রথম দিনের সর্বাধিক তাপমাত্রা প্রায় ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা শহরের কিছু অংশে ১২ ডিগ্রির সেলসিয়াসের নীচে নেমে আসছে।
এটি শীতের স্বাভাবিক তাপমাত্রা থেকে অনেক নীচে।এই সময় জানুয়ারিতে ১৫থেকে ২৫ ডিগ্রির মধ্যে থাকে। পিচের কিছু অংশ ধূসর, তবে শীতল রেখা বিশেষ করে সকাল এবং সন্ধ্যায় হালকা, হালকা আবহাওয়া পূর্বাভাস রয়েছে। বঙ্গোপসাগর থেকে আসা ঠাণ্ডা বাতাসের প্রভাবে তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় শীতের অনুভূতি আরও বেড়ে যাচ্ছে।
রাজ্যের আবহাওয়া:
রাজ্যের বাকি অংশের আবহাওয়া কলকাতার ঠান্ডা অবস্থার মতোই। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে বিশেষ করে দার্জিলিং এবং ভূমির রুক্ষ অঞ্চলগুলি প্রায়ই ঠান্ডা আবহাওয়া অনুভব করে। দার্জিলিংয়ে পারদ প্রায় ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে গেছে এবং উচ্চতর অঞ্চলে হালকা থেকে মাঝারি তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে, যা শীতের আবহাওয়াকে আরও শীতল করে তুলবে।
একইভাবে, হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুসারে, জলপাইগুড়ি, মালদা এবং আলিপুরদুয়ার জেলায় ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, যা গত সপ্তাহের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম।
এছাড়া দক্ষিনবঙ্গে সুন্দরবন, সামুদ্রিক অঞ্চল এবং সমতলের ধূসর অংশে দীঘার মতো জায়গায় তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে কিছুটা বেশি, যদিও তাপমাত্রা প্রায়শই ১৫ থেকে ১৮ ডিগ্রির মধ্যে থাকে। আর্দ্রতার মাত্রা মাঝারি, যদিও উপকূলীয় অঞ্চলকে প্রভাবিত করে নিম্নচাপ ব্যবস্থার কারণে বাতাসের গতি কিছুটা বেড়েছে, যা সন্ধ্যার পর থেকে আরও শীতল করে তুলেছে।
তাপমাত্রা কমে যাওয়ার কারণগুলি
সাম্প্রতিক সময়ে তাপমাত্রার হ্রাস বিভিন্ন কারণের সমন্বয়ে ঘটছে। ভারতের পশ্চিমাঞ্চলে শীত বাড়ছে এবং পশ্চিমবঙ্গেও শীত বাড়ছে বলে শৈত্যপ্রবাহ দেখা দিয়েছে দেশ জুড়ে। এছাড়াও, উত্তর-পূর্ব বর্ষা যা এই অঞ্চলকে প্রভাবিত করে চলেছে তা ধীরে ধীরে পিছিয়ে যাচ্ছে, যার ফলে আকাশ পরিষ্কার এবং কম মেঘের আচ্ছাদন রয়েছে। এটি রাতে শীতলতা বজায় রাখে, যা স্বাভাবিক তাপমাত্রার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এছাড়াও, নিনা অবস্থার সঙ্গে বর্তমান বৈচিত্রগুলিও এই অঞ্চলের সাধারণ জলবায়ু পরিস্থিতির উপর দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব ফেলেছে। এই কারণগুলি একসঙ্গে কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গে শীতের আবহাওয়াকে আরও স্পষ্ট করতে অবদান রাখছে।
হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুসারে, আগামী দিনগুলিতে তাপমাত্রা তুলনামূলকভাবে কম থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে, কারণ আকাশ পরিষ্কার থাকবে এবং রাজ্য জুড়ে শীতল বাতাস বইতে থাকবে। জানুয়ারির মাঝামাঝি তাপমাত্রা আরও কমতে পারে, বিশেষ করে বাংলার দক্ষিণ ও দক্ষিণাঞ্চলে। স্বাভাবিক তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার কম হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কলকাতার জন্য, সময়টি শীতল সকাল এবং সন্ধ্যার ধারাবাহিকতা পূর্বাভাস রয়েছে, অন্য বছরগুলি স্বাভাবিকের চেয়ে আরও শীতল হবে। সারা দিন তাপমাত্রার ওঠানামার কারণে শহরবাসী এবং ভ্রমণকারীদের একাধিক গরম পোশাক পরতে হবে।শীতের মরসুমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আপডেটের জন্য আমাদের সঙ্গেই থাকুন।