সংক্ষিপ্ত

সদ্যো শেষ হওয়া লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে মহিলাদের ভোট বড়েছে তৃণমূলের বাক্সে। বিজেপির অনুমান মহিলা হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ম্যাজিক আর লক্ষ্মীর ভান্ডারের কারণে মহিলাদের ভোট পাচ্ছেন মমতা

 

রাজ্যে উপনির্বাচনের পরই বঙ্গ বিজেপিতে বড় রদবদল হতে পারে। তেমনই গুঞ্জন বিজেপির রাজ্যের সদর দফতরে। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মোকাবিলা করতে বঙ্গ বিজেপির দায়িত্বে আনা হতে পারে কোনও মহিলা নেত্রীকেই। তেমনই জল্পনা বিজেপির অন্দরে। যদিও বিজেপির রাজ্য সভাপতি পদ নিয়ে ইতিমধ্যেই আলোচনায় রয়েছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ও প্রাক্তন রাজ্যসভাপতি দিলীপ ঘোষের নাম। যদিও এই দুটি নামে এখনও সিলমহর দেয়নি পদ্ম শিবির।

সদ্যো শেষ হওয়া লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে মহিলাদের ভোট বড়েছে তৃণমূলের বাক্সে। বিজেপির অনুমান মহিলা হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ম্যাজিক আর লক্ষ্মীর ভান্ডারের কারণে মহিলাদের ভোট পাচ্ছেন মমতা। আর সেই কারণে আগামী বিধানসভা নির্বাচনের জন্য এবার বিজেপি রাজ্যের নেতৃত্বে নিয়ে আসতে চাইছে কোনও মহিলা নেত্রীকে। তেমনই জল্পনা শুরু হয়েছে।

মহিলা নেত্রী হিসেবে রাজ্য বিজেপির সভাপতি পদের দৌড়ে রয়েছেন লকেট চট্টোপাধ্য়ায় ও অগ্নিমিত্রা পলের নাম। দুজনেই রাজ্য বিজেপির মহিলা মোর্চার দায়িত্বে ছিলেন। তালিকায় রয়েছে বিজেপি নেত্রী শ্রীরূপা চৌধুরীর নাম। তবে বিজেপি সূত্রের খবর ব্যক্তিগত ও পারিবারিক কিছু সমস্যা চলছে। আর সেই কারণে তিনি এই সময় বিজেরি রাজ্য সভাপতির পদ নিয়ে নাও পারেন। তবে তালিকায় রয়েছে মালতা রাভা রায় ও দেবশ্রী চৌধুরীর নাম। দেবশ্রী দিলীপ ঘোষের আমলে সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি সংঘ পরিবারের ঘনিষ্ট। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও ছিলেন। দেবশ্রী সংঘ পরিবারের ঘনিষ্ট হিসেবেই পরিচিত।

জেপি নাড্ডা কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী। তাই সর্বভারতীয় বিজেপির সভাপতি হিসেবে নতুন কাউকে নিযুক্ত করা হবে। নতুন সভাপতি পেলেই রাজ্যেও সভাপতির পদে রদবদল অনিবার্য। কারণ বিজেপির নিয়ম অনুযায়ী এক ব্যক্তি এক পদ। দুই পদে এক ব্যক্তি থাকতে পারেন না। সেক্ষেত্রে রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তাই তাঁকে বিজেপির সভাপতির পদ ছাড়তে হবে। বিজেপি সূত্রের খবর উপনির্বাচনের পরই বিজেপিতে বড় রদবদলের সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে নরেন্দ্র মোদী সরকার সংসদে ৩৩ শতাংশ মহিলাদের জন্য সংরক্ষণ বিল পাশ করালেও বিজেপিতেই মহিলা মুখের অভাব রয়েছে- যা নিয়ে বিরোধীরা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে। সেই কারণে বিরোধী , বিশেষ করে তৃণমূলকে জবাব দিতে রাজ্য মহিলা সভাপতি করার তোড়জোড় শুরু হয়েছে বিজেপির অন্দরে। তেমনই বলছে একটি সূত্র।