সংক্ষিপ্ত
- উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাজ্য করার দাবিতে সরব হয়েছিলেন
- তাঁর সঙ্গে একমত হতে পারেনি বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব
- সেই জন বারলাই স্থান পেলেন মোদীর মন্ত্রিসভায়
- টুইটারে সরব হয়েছেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র
মাত্র কয়েকদিন আগের কথা। উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাজ্য করার দাবিতে সরব হয়েছিলেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ জন বারলা। আলাদ রাজ্য না হওয়া পর্যন্ত কিছুই মানবেন না বলে জানিয়েছিলেন। যদিও বিষয়টি নিয়ে তাঁর সঙ্গে একমত হতে পারেনি বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বও। আর এবার সেই জন বারলাই স্থান পেলেন মোদীর মন্ত্রিসভায়। সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী করা হয়েছে তাঁকে। বিষয়টি মেনে নিতে পারছে না তৃণমূল। এর বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরুর চিন্তাভাবনা শুরু করছে তারা। এনিয়ে টুইটারে সরব হয়েছেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র।
আরও পড়ুন- চাঙড় খসে বিপত্তি, বিধানসভায় বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেলেন বিধায়করা
টুইটারে কৃ্ষ্ণনগরের সাংসদ লেখেন, "বিজেপি সাংসদ বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গকে তিনভাগে ভাগ করা উচিত। বিজেপি তাঁর বক্তব্যকে সমর্থন করেনি। অথচ তাঁকেই মন্ত্রিসভায় জায়গা দিয়ে পুরস্কৃত করা হল। খেলা তো শুরু হয়ে গিয়েছে।" কৃষ্ণনগরের সাংসদের বক্তব্য থেকেই স্পষ্ট, রাজ্য বিজেপির শীর্ষ স্থানীয় নেতারা যাই ভাবুক না কেন, বাংলাকে তিন টুকরো করার কথা যে বলেছেন, তাঁকেই বিজেপির কেন্দ্রীয় স্তরের নেতারা বেশি গুরুত্ব দিয়ে দেখছে।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই উওরবঙ্গ নামে পৃথক রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের দাবিতে সরব হয়েছিলেন জন বারলা। তাঁর এই মন্তব্য একেবারেই সমর্থন করেনি রাজ্য নেতৃত্ব। আর তাঁকেই জায়গা করে দেওয়া হল মোদীর মন্ত্রিসভায়। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তাহলে কি রাজ্য ভাগের বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্যই বারলাকে জায়গা করে দেওয়া হল। নাকি রাজ্য নেতৃত্ব বিষয়টিকে সমর্থন না করলেও কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব আদতে রাজ্য ভাগের পক্ষেই রয়েছে।
আরও পড়ুন- হাইকোর্টের কড়া নির্দেশ, উচ্চ প্রাথমিকে ইন্টারভিউয়ের তালিকা প্রকাশ কমিশনের
বারলার মন্তব্যের বিরোধিতা করেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেছিলেন, জন বারলা যা বলেছেন, সেটা তাঁর ব্যক্তিগত মত হতে পারে। কিন্তু এই মন্তব্যকে বিজেপি সমর্থন করে না। এমনকী, আলিপুরদুয়ারে হওয়া সাংগঠিন বৈঠকে দেখা যায়নি বারলাকে। সেখানেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল যে রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব তৈরি হয়েছে। কিন্তু, মোদীর মন্ত্রিসভায় তাঁকে স্থান দিয়ে আদতে বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব কি বার্তা দিতে চাইছেন সেটাই এখন দেখার।