সংক্ষিপ্ত

রবিবার বিকেলে অশোকনগর কল্যাণগড় পুরসভার বনবনিয়া এলাকায় একটি জনসভায় যোগদান করেছিলেন কুণাল। সেখানেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে আনিস খানের হত্যা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "দোষীদের যথাযথ শাস্তি চাই, পুলিশ রহস্যের সমাধান করবে। পুলিশের পোশাক পরে যারা খুন করতে চায় তাদের উদ্দেশ্য হল পুলিশ আর সরকারকে ভিলেন বানানো।"

আমতাকাণ্ডে (Amta Issue) ২৪ ঘণ্টার (24 Hours) বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও এখনও অধরা দুষ্কৃতীরা। মৃত ছেলের খুনিদের (Murderer) শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। পুলিশ প্রশাসনের দিকে সরাসরি অভিযোগ করেছে মৃতের পরিবার। তাঁদের অভিযোগ, পুলিশ আদৌ কিছু করছে না। বাড়িতে এসে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের (Post-Mortem) জন্য নিয়ে যাওয়া ছাড়া আর কিছুই করেনি আমতা থানা (Amta Police Station)। আর এবার এই ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)।

রবিবার বিকেলে অশোকনগর কল্যাণগড় পুরসভার বনবনিয়া এলাকায় একটি জনসভায় যোগদান করেছিলেন কুণাল। সেখানেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে আনিস খানের হত্যা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "দোষীদের যথাযথ শাস্তি চাই, পুলিশ রহস্যের সমাধান করবে। পুলিশের পোশাক পরে যারা খুন করতে চায় তাদের উদ্দেশ্য হল পুলিশ আর সরকারকে ভিলেন বানানো। যারা পুলিশের পোশাক পরে এ কাজ করেছে তারা আসলে পুলিশ নয়, পরিকল্পিতভাবে পুলিশের পোশাক ব্যবহার করা হয়েছে। রাজনৈতিক অপপ্রচারের জন্য যাদের লাভ তারা এগুলো করেছে। এতে কাদের লাভ সেটা তদন্ত করে দেখা উচিত।"

আরও পড়ুন- ছাত্রনেতার মৃত্যুতে রণক্ষেত্র পার্ক সার্কাস, ব্যারিকেড ভেঙে এগোল মোমবাতি মিছিল

উল্লেখ্য, মৃত যুবকের বাবা সালাম খানের অভিযোগ পুলিশের পোশাক পরিহিত ৪ জন লোক বাড়ির ভেতরে ঢুকে আনিসকে খুন করে। পরিবার সূত্রে খবর আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া আনিস আগাগোড়া কলকাতাতেই থাকতেন। তিন দিন আগে তিনি বাড়িতে আসেন। শুক্রবার সন্ধ্যাবেলা পাড়ার একটি জলসাতে গিয়েছিলেন। এরপরে গভীর রাতে বাড়ি ফেরেন তিনি। তার কিছুক্ষণ পরেই হঠাৎ চার জন লোক রাত ১টা নাগাদ তাঁদের বাড়িতে যান। ওই চারজনের মধ্যে একজন পুলিশের পোশাক পরা থাকলেও বাকিদের শরীরে জলপাই রঙের পোশাক পরা ছিল। আমতা থানার পুলিশ পরিচয় দিয়ে তারা তিনতলা থেকে আনিসকে ফেলে দেয়। তার জেরেই মৃত্যু হয় আনিসের। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে রয়েছে রাজ্য রাজনীতি।

আরও পড়ুন- আনিশের মৃত্যুতে হোক সিবিআই তদন্ত-তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ পরিবারের

আর এই ঘটনার জন্য রাজ্যের শাসক দলকে কাঠগড়ায় তুলেছেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, "পশ্চিমবঙ্গে রাজনৈতিক খুন নতুন ঘটনা নয়। বিরোধী কর্মীদের খুন করানো হত। নিজের কর্মীদেরও খুন করিয়েছে তৃণমূল। এতদিন তো সিএএ-র বিরোধিতায় ওঁর নেতৃত্বে হয়েছে। তৃণমূল তো সঙ্গেই ছিল। সুজনবাবু বলেছেন, পুলিশ দিয়ে নাকি এনকাউন্টার করানো হয়েছে। পুলিশ দিয়ে যে এনকাউন্টার হয় তা আমার জানা নেই। তাহলে এত দুর্বৃত্ত রাস্তায় ঘুরে বেড়াত না। যাই হোক সামাজিক, রাজনৈতিক কর্মী খুন হয়েছেন। তদন্ত হওয়া উচিত। রহস্য উদঘাটন হোক। আত্মহত্যা হলে সেটাও সামনে আসা দরকার।"

আরও পড়ুন- গভীর রাতে পুলিশের পোশাক পরে বাড়িতে হানা, ছাদ থেকে ফেলে খুন ছাত্রনেতাকে