সংক্ষিপ্ত
- ব্রহ্মপুত্র মেলের ঘটনা
- ধুপগুড়ি থেকে দিল্লি যাচ্ছিল পরিবারটি
- এসি এ-১ কামরায় ছিলেন গৃহবধূ
- শৌচাগারে যাওয়ার পরই নিখোঁজ
চলন্ত ট্রেন থেকেই রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে গেলেন এক মহিলা। তাও আবার বাতানুকুল প্রথম শ্রেণির কামরা থেকে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে ডাউন বহ্মপুত্র মেলে। নিখোঁজ গৃহবধূর স্বামীর অভিযোগ, তাঁর স্ত্রীর গায়ে থাকা সোনার অলঙ্কার ছিনতাই করতেই তাঁকে অপহরণ করেছে।
বছর তিরিশের ওই নিখোঁজ মহিলার নাম নীলিমা রায় বর্মণ। ধুপগুড়ি থেকে পরিবারের সঙ্গে দিল্লি যাচ্ছিলেন নীলিমা। আদতে কোচবিহারের দিনহাটার বাসিন্দা ওই পরিবারটি এখন কর্মসূত্রে হরিয়ানার বাহাদুরগড়ে থাকে।
আরও পড়ুন- প্রেমিকার ডাকে সাড়া, ল্যম্প পোস্টে বেঁধে পেটানো হল যুবককে
নিখোঁজ মহিলা স্বামী রাজু রায় বর্মণ জানান, রবিবার রারাত আটটা নাগাদ ধুপগুড়ি স্টেশন থেকে স্ত্রী নিলিমা, পাঁচ বছরের ছেলে মায়াঙ্ক এবং শ্যালক বিশ্বজিৎ রায়কে নিয়ে দিল্লিগামী ব্রহ্মপুত্র মেলে ওঠেন তাঁরা। অভিযোগ, সোমবার ভোরে বারারোয়া স্টেশন পার করার পরে শৌচাগারে যান নীলিমা। এর পর বেশ কিছুক্ষণ কেটে গেলেও তিনি ফিরে না আসায় তাঁর খোঁজ শুরু করেন রাজু এবং তাঁর শ্যালক। কিন্তু শৌচাগারে তো বটেই, গোটা কামরাতেই ছিলেন না ওই গৃহবধূ। তাঁর মোবাইলটিও ব্যাগের মধ্যে রেখে শৌচাগারে যান তিনি। ফলে কোনওভাবেই তাঁর যোগাযোগ করতে পারেননি পরিবারের সদস্যরা।
ততক্ষণাৎ বিষয়টি টিটি এবং আরপিএফকে জানান রাজু। এর পরে ট্রেনের অন্যান্য কামরাগুলিতে খুঁজেও স্ত্রীর খোঁজ পাননি তিনি। শেষ পর্যন্ত বিহারের জামালপুর স্টেশনে নেমে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করার চেষ্টা করেন নিখোঁজ গৃহবধূর স্বামী। অভিযোগ, রেল পুলিশের সাহায্য পাননি তিনি। এর পরে সোমবার রাতেই মালদহ টাউন স্টেশনে ফিরে এসে অভিযোগ জানান ওই রাজু রায় বর্মণ।
নিখোঁজ মহিলার স্বামীর সন্দেহ, তাঁর স্ত্রীর গলায়, হাতে এবং কানে সোনার অলঙ্কার ছিল। সম্ভবত লেগুলি হাতিয়ে নিতেই তাঁর স্ত্রীকে অপহরণ করা হয়েছে। অভিযোগ পাওয়ার পরে বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নেমেছে মালদহ জিআরপি থানার পুলিশ। কিন্তু সত্যিই ওই গৃহবধূকে অপহরণ করা হয়েছে, নাকি কোনওভাবে তিনি নিজে থেকেই ট্রেন থেকে নেমে গিয়েছেন, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।