সংক্ষিপ্ত
- ভালোবাসার নির্মম পরিণতি
- বান্ধবীর পরিবারের হাতে খুন কিশোর
- তেমনই অভিযোগ মৃতের পরিবারের লোকেদের
- অভিযুক্তদের বেধড়ক মার স্থানীয়দের
ভালোবেসে কপালে জুটেছিল মার। দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন মেয়ের বাড়ির লোকেরা। অপমানে শেষপর্যন্ত আত্মহত্যা করল দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্র। মৃতের পরিবারের লোকেরা অবশ্য বিষ খাইয়ে খুনের অভিযোগ তুলেছেন। বাড়িতে চড়াও হয়ে অভিযুক্তকে বেধড়ক মারধরও করলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। উত্তেজনা ছড়াল হুগলির ব্যান্ডেলে। তবে থানায় এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি বলে জানা গিয়েছে।
মৃতের নাম তন্ময় নন্দী। বাড়ি, ব্যান্ডেলে চন্দনপুরে। স্থানীয় একটি স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র তন্ময়। পাশের পাড়ার একটি মেয়েকে ভালোবেসেছিল সে। জীবন দিয়ে তারই মাশুল দিতে হল ওই কিশোরকে! পরিবারের দাবি, স্রেফ মন পাওয়ার জন্য নানা অছিলায় মেয়েটির বাড়িতে যেত তন্ময়। রাস্তা ঘাটে দেখা হলে কথাও বলত। ঘটনাটি জানাজানি হতেই ঘটে বিপত্তি। তন্ময়ের পরিবারের অভিযোগ, ছেলের আচরণ মেনে নিতে পারেননি ওই মেয়েটির পরিবারের লোকেরা। গত রবিবার রাস্তায় দেখতে পেতে তন্ময়কে মারধর করেন মেয়ের দুই মামা। এমনকী, বাড়িতে জানিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। শুধু এটুকু করেই ক্ষান্ত হননি, ঠাণ্ডা পানীয়ের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে ওই কিশোরকে খাইয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পরিবারের লোকেদের দাবি, ঘটনার দিন বাড়ি ফিরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তন্ময়। প্রথমে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে। কিন্তু শারীরিক অবস্থায় অবনতি হওয়ার ওই কিশোরকে কলকাতায় পাঠিয়ে দেন চিকিৎসকরা। তবে শেষরক্ষা হয়নি। বুধবার সকালে মারা যায় তন্ময় নন্দী।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে বেড়াতে গিয়ে পর্যটকের মৃত্যু, তিনদিন পর দেহ মিলল নদীতে
এদিকে তার মৃত্যুসংবাদ জানাজানি হতেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে ব্যান্ডেলে চন্দনপুরে। বাড়িতেও চড়াও অভিযুক্তদের বেধড়ক মারধর করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। শেষপর্যন্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আক্রান্তদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় থানায়। কিন্তু সত্যিই বিষ খাইয়ে খুন করা হয়েছে তন্ময় নন্দীকে? পুলিশ কিন্তু অন্য কথা বলছে। প্রাথমিক তদন্ত অনুমান, খুন নয়, বরং মেয়ের পরিবারের লোকেদের হাতে মার খেয়ে আত্মহত্যাই করেছে তন্ময়। নিয়মমাফিক তার মৃতদেহটি ময়নাতদন্তে পাঠিয়ে দিয়েছে পুলিশ।