Shashi Tharoor News -

ভারতে খেলা নিয়ে রাজনীতি নতুন কিছু নয়। এবার জিম্বাবোয়ে সফর নিয়েও রাজনীতি শুরু হয়েছে। শুবমান গিলরা যখন মাঠে লড়াই করছেন, তখন কংগ্রেস ও বিজেপি-র মধ্যে চাপানউতোর শুরু হয়েছে।

শুক্রবার লোকসভা নির্বাচনে দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ। এই দফার ভোটে অনেক হেভিওয়েট প্রার্থীর ভাগ্যপরীক্ষা হতে চলেছে। প্রার্থীদের মধ্যে আছেন রাহুল গান্ধী।

শৈশব থেকে সংগ্রাম করা খড়গে ৯ বার বিধায়ক এবং দু'বার সাংসদ ছিলেন। বহুবার তিনি কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ পেয়েও তা বাস্তবায়িত হয়নি। কংগ্রেস দলিত সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি মল্লিকার্জুন খাড়গের কাছ থেকে কংগ্রেস আশা করে যে খাড়গে দলকে পুনরুজ্জীবিত করতে সক্ষম হবেন।

সাংবাদিকদের সাথে কথোপকথনের সময় রাহুল গান্ধী বিজেপি সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলির ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন সবাই কংগ্রেসে নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন করে। আমি গর্বিত যে কংগ্রেসে মুক্ত ও স্বচ্ছ নির্বাচন হয়। বিজেপি-সহ অন্যান্য আঞ্চলিক দলগুলিতে কেউই এই ধরণের নির্বাচনে আগ্রহী নয়।

সারাদেশে ভোট কেন্দ্রে ব্যাপক ব্যবস্থা রাখা হয়েছে এবং সকাল ১০টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। নয় হাজারেরও বেশি প্রদেশ কংগ্রেস কমিটি (পিসিসি) প্রতিনিধি একটি গোপন ব্যালটে দলীয় প্রধান বাছাই করবেন।

কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনের কাউন্টডাউন শুরু। ২৪ বছর পর সোমবার সভাপতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। রাহুল গান্ধীর ভোটই গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর দলের কাছে।

শশী থারুর বনাম মল্লিকার্জুন খাগড়ে- কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচন হবে দুই নেতার মধ্যে। বৃহস্পতিবার মনোনয়ন তুললেও শেষ মুহূর্তে তা দাখিল করেননি দিগ্বিজয় সিং। অন্যদিকে রাজস্থানের রাজনৈতিক অস্থিতরতার কারণে আগে থেকেই সভাপতির দৌড় থেকে ছিটকে গিয়েছিলেন অশোক গেহলট।

রাহুল গান্ধীর কর্যকলাপকে নিয়ন্ত্রণে আনতে এবং দলের সভাপতি হিসাবে দলকে নেতৃত্ব দিতে এখন প্রস্তুত রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেলহট। শীঘ্রই কংগ্রেস প্রধান সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করতে যাবেন তিনি ।

একদিকে যখন ভারত জোড়ো যাত্রার মধ্যেই রাহুল গান্ধীকে দলের প্রধান হিসেবে ফিরে পেতে চাইছে কংগ্রেস ঠিক সেই কংগ্রেস সাংসদ তথা প্রাক্তন শশী থারুর কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করতে তাঁর বাসভবনে যান।

শশী থারুর বলেন, 'আমার মন্তব্য করার মত কিছু নেই। আমি আমার নিবন্ধে যা লিখিছে তা আমি মন থেকে মেনে নিয়েছে। আর সেটা হল নির্বাচন কংগ্রেসের জন্য ভাল দিক। এতে কংগ্রেসের উপকারই হবে।'