উচ্চ আদালতের ডিএ রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রিভিউ পিটিশন দাখিল করেছিল রাজ্য। যদিও তা খারিজ হয়ে যায়। এরই মাঝে তিনটি রাজ্য সরকারি কর্মচারী সংগঠন রাজ্যের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলার দায়ের করে। সেই মামলার মধ্যেই পাল্টা সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য।
সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে একাধিক প্রকল্প চালু করেছে রাজ্য সরকার। এরমধ্যে অন্যতম লক্ষ্মীর ভান্ডার, কন্যাশ্রী, যুবশ্রী। তবে এগুলি সম্পর্কে তথ্য জানার জন্য বেশ কসরত হয়। এই প্রকল্পগুলি যদি দ্রুত কার্যকরী হয় তাহলে সাধারণ মানুষেরই সুবিধা হবে।
লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা দেওয়ার ক্ষেত্রে কোথাও কোন রকম অভিযোগ এখন নেই বললেই চলে। লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের টাকা যথা সময়ে উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে দেওয়া হলেও এখন রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অন্য একটি গুরুতর অভিযোগ আসতে দেখা যাচ্ছে।
তিনটি রাজ্য সরকারি কর্মচারী সংগঠন রাজ্যের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলার দায়ের করে। সেই মামলার মধ্যেই পাল্টা সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য। এখনও সেই মামলাই ঝুলে রয়েছে সর্বোচ্চ আদালতে।
এর আগে ছয় বার জয় হয়েছে রাজ্য সরকারি কর্মীদের। সপ্তমবারেও কি শেষ হাসি তারাই হাসবে? বকেয়া ডিএ মেটানোর দাবীতে চলছে এই মামলা।
লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প সম্পর্কে নতুন করে বলার কিছু নেই। এই প্রকল্পের আওতায় প্রথম দিকে সাধারণ শ্রেণীর মহিলাদের প্রতি মাসে ৫০০ টাকা এবং তপশিলি জাতি ও উপজাতি শ্রেণীর মহিলাদের প্রতি মাসে ১০০০ টাকা করে দেওয়া হতো।
১৫ জুলাই সুপ্রিম কোর্ট উঠতে পারে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ মামলা। শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে বিচারপতি হৃষিকেশ রায় ও বিচারপতি এনভিএন ভাট্টির ডিভিশন বেঞ্চে
লোকসভা ভোটের আগেই নিয়ম মতো মহার্ঘ ভাতা বাড়িয়েছে কেন্দ্র সরকার। বর্তমানে ৫০ শতাংশ হারে ডিএ পাচ্ছেন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা। কেন্দ্রের পথে হেঁটে একাধিক রাজ্য সরকারও সম্প্রতি ডিএ বৃদ্ধি করেছে।
৪ শতাংশ হারে ডিএ বৃদ্ধি করা হয়েছে সরকারের অধীনে কর্মরত কর্মচারীদের। যা ১ জানুয়ারী, ২০২৪ থেকে কার্যকর হবে। সপ্তম বেতন কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী এই মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধি করার ঘোষণা করা হয়েছে।
রাজ্যের মহিলাদেরকে স্বনির্ভর করে তোলার জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়, লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের মাধ্যমে। যে সমস্ত মহিলারা ২৫ বছরের উপরে তারা আবেদন করতে পারবেন, সর্বোচ্চ ৬০ বছর পর্যন্ত লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে নাম নেওয়া হবে