শেষ হয়েছে তিন দফা ভোচগ্রহণ
ফলাফল সেই ২ মে
তার অনেক আগে থেকেই ঘোড়া কেনাবেচা-র ভয় অসমে
এআইইউডিএফ-এর ১৮ প্রার্থীকে পাঠানো হল রাজস্থানে
তিন দফায় শেষ হয়েছে অসম বিধানসভা নির্বাচন ২০২১-এর ভোটগ্রহণ। ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করতেহবে ২ মে তারিখ পর্যন্ত। কিন্তু, তার অনেক আগে থেকেই ঘোড়া কেনাবেচা অর্থাৎ, চাপ দিয়ে বা প্রলোভন দেখিয়ে জয়ী প্রার্থীদের ভাঙিয়ে নেওয়ার ভয়ে কাঁপছে বিরোধী দলগুলি। শুক্রবারই বদরুদ্দিন আজমলের এআইইউডিএফ দল তাদের ১৮ জন প্রার্থীকে রাজস্থানের জয়পুরের একটি বিলাসবহুল হোটেলে পাঠিয়ে দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। 'মহাজোট' অর্থাৎ কংগ্রেস, এআইইউডিএফ-সহ ১০ দলের জোট, যৌথভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। খুব শীঘ্রই কংগ্রেসের প্রার্থীরাও জোট শরিক বিধায়কদের সঙ্গে যোগ দেবেন, বলে শোনা যাচ্ছে।
শুক্রবার থেকে এইআইইউডিএফ-এর সমস্ত প্রার্থীই সুদূর রাজস্থানের রাজধানীর ফেয়ারমাউন্ট হোটেলের বাসিন্দা হয়েছেন। ২ মে ফল ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা সেখানে থাকবেন বলে জানা গিয়েছে। তবে শুধু প্রার্থীদের রাজ্য থেকে বহুদূরে পাঠিয়েই নিশ্চিন্ত হতে পারছে না তারা। তাঁদের নজরে রাখার জন্য, এআইইউডিএফ প্রধান মৌলানা বদরুদ্দীন আজমল-ও এদিন গুয়াহাটি থেকে জয়পুরের উদ্দেশ্যে উড়ে গিয়েছেন। এই ক'দিন প্রার্থীদের আজমির শরিফ-সহ রাজস্থানের অন্যান্য সমস্ত পর্যটন স্থান পরিদর্শন করানো হবে।
অসনের কংগ্রেস নেতারাও জানিয়েছেন জোট শরিকের প্রার্থীরা কংগ্রেস শাসিত রাজস্থানে আছেন। তাঁদের দাবি উত্তপ্ত নির্বাচনের পর আবহাওয়াঠাণ্ডা করা জন্য়ই এই সিদ্ধআন্ত নেওয়া হয়েছে। তবে কংগ্রেস দলও তাদের কয়েকন প্রার্থীকে নিয়ে সন্দিহান। নির্বাচনে জয় পেলে, বিজেপির চাপ ও প্রলোভনে তাঁরাও শিবির বদল করতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাই ঘোড়া কেনাবেচার সম্ভাবনা একেবারে দূর করতে তাদেরও রাজস্থানে পাঠানো হবে। ফলাফল প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত তাঁদেরও অসমের বাইরে রাখারই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন - কৃষি না শিল্প - একদশক পর নির্বাচনে ফিরে এল পুরোনো প্রশ্ন, কী বলছে সিঙ্গুর
আরও পড়ুন - বাদ 'জয় শ্রীরাম', ভরসা নিজের কাজ - শুভেন্দুর থেকেও কঠিন পরীক্ষায় এবার রাজীব, দেখুন
আরও পড়ুন - বঙ্গের কোন কোন কেন্দ্রে সহজে জিতবে বিজেপি, কোথায় লড়াই কঠিন - কী বলছে দলের গোপন বিশ্লেষণ
তবে শুধু এআইইউডিএফ ও কংগ্রেস নয়, মহাজোটে সিপিএম, সিপিআই, সিপিআই (এমএল)-এর মতো তিন বামদল, বোড়োল্যান্ড পিপলস পার্টি এবং আরও ৪টি আঞ্চলিক দল রয়েছে। কাজেই, ঘোড়া কেনাবেচা শুরু হলে জোটের কতজনকে আটকে রাখা যাবে, তাই নিয়ে যথেষ্ট সন্দিহান রাজ্যের রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।