শুধু আইএসএফ নয়, দেশদ্রোহীদেরও হাত ধরতে চায় কংগ্রেস - কী বলল বিজেপি

Published : Mar 02, 2021, 04:53 PM IST
শুধু আইএসএফ নয়, দেশদ্রোহীদেরও হাত ধরতে চায় কংগ্রেস - কী বলল বিজেপি

সংক্ষিপ্ত

আইএসএফ-এর সঙ্গে কংগ্রেসের জোট নিয়ে বিজেপির কটাক্ষ দেশদ্রোহে অভিযুক্তদেরও হাত ধরতে চায় হাত এমনই অভিযোগ করলেন বিজেপি নেতা সম্বিত পাত্র আর কী বললেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি  

পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে এতদিন লড়াইটা ছিল দ্বিমুখী। ব্রিগেডে সংযুক্ত মোর্চার সভা তাতে যেন কিছুটা হলেও ভাগ বসিয়েছে। তবে আব্বাস সিদ্দিকির দল আইএসএফ-এর সঙ্গে কংগ্রেস-এর জোট গড়া নিয়ে এখনও তীব্র জটিলতা রয়েছে। কংগ্রেস দলের মধ্যেই একাংশের নেতা এই জোট নিয়ে ক্ষুব্ধ। আর সুযোগ বুঝে সেই ফাটল আরও বাড়াবার চেষ্টায় নামল বিজেপি। মঙ্গলবার এই জোট নিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় মুখপাত্র সম্বিত পাত্র বললেন, কংগ্রেস দলের আদর্শই হল 'দুর্নীতি এবং স্বজনপোষণ', তাই এই জোটে তারা অবাক নন।

সম্বিত পাত্র এদিন বলেন, আব্বাস সিদ্দিকি একজন মুসলিম মৌলবি। তাই স্বাভাবিকভাবেই তাঁর দলের নাম ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট (ISF) হলেও এই দল ধর্মনিরপেক্ষ হতে পারে না। এইরকম একটি দলের সঙ্গে কংগ্রেসের জোট গড়া  নিয়ে কংগ্রেস দলের মধ্য়েই দ্বন্দ্ব বেঁধেছে। টুইট যুদ্ধ চলছে। কংগ্রেস দল ধর্মনিরপেক্ষ বলে নিজেদের দাবি করে। দলের নেতারাই প্রশ্ন করছেন, এটা কি মহাত্মা গান্ধীর ধর্মনিরপেক্ষতা? এটা 'ভন্ডামি' বলে দাবি করেছেন বিজেপি মুখপাত্র।

তিনি বলেন, ধর্মনিরপেক্ষ কংগ্রেস দল শুধু বাংলায় আইএসএফ-এর সঙ্গে জোট করেছে তাই নয়, কেরলে তারা মুসলিম লিগের সঙ্গে জোট করেছে। কেরলে জামাতে ইসলামির রাজনৈতিক মুখ ওয়েলফেয়ার পার্টি অব ইন্ডিয়ার সঙ্গে জোট করেছে। অসমে বদরুদ্দিন আজমলের দল এআইইউডিএফ-এর সঙ্গে জোটের কথা চালাচ্ছে। আগে তারা জোটে ছিলও। অথচ এই এআইইউডিএফ-এর বিরুদ্ধে একটি দেশদ্রোহের মামলার তদন্ত চলছে।

কংগ্রেস যে কোনওভাবে নিজেদের রাজনৈতিক প্রাসঙ্গিকতা বজায় রাখতে চায়, বলে দাবি করেন সম্বিত পাত্র। তাঁর আরও দাবি কংগ্রেস আসলে না জোট, না সুশাসন - কোনটা নিয়েই ভাবিত নয়। কংগ্রেস নেতাদের আসল উদ্দেশ্য যে কোনও উপায়ে ক্ষমতা দখল করে মোটা টাকা কামানো। আর গান্ধী পরিবারের উচ্চাকাঙ্খা পূর্ণ করা। আর তার জন্য তারা যে কারোর হাত ধরতে রাজি।

এদিন, আইএসএফ-এর সঙ্গে জোটের বিষয়ে অধীররঞ্জন চৌধুরীকে ব্যঙ্গ করে টুইট করা হয় বিজেপির সরকারি হ্যান্ডেল থেকেও। বলা হয়, অধীর পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ও লোকসভার তত্ত্বাবধায়ক এবং প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও বটে। কিন্তু 'আনুগত্যের বোঝা' এমন যে তা সত্ত্বেও তাঁকে প্রকাশ্য মঞ্চে অপমানিত হয়েও তা সহ্য করে 'সাম্প্রদায়িক শক্তি'র হয়ে কথা বলতে হচ্ছে তাঁকে।
 

PREV
click me!

Recommended Stories

নতুন শ্রম আইনে আপনার বেতনের পরিমাণ খুব বেশি কমবে না,কারণ জানাল মন্ত্রক
যাত্রীদের সমস্যার 'ক্ষতে' ১০০০০ টাকার 'মলম'! IndiGo ভাউচার ঘোষণা করল