সোমবারই শিবসেনার বিধায়ক অরবিন্দ সাওয়ান্ত মোদীর মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছিলেন। রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দ সেই পদত্যাগ গ্রহণ করেছেন বলে জানা গিয়েছে। রাষ্ট্রপতি ভবনের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে কথা বলে রাষ্ট্রপতি অরবিন্দ গনপথ সাওয়ান্তের পদত্যাগ গ্রহণ করেছে। এই পদত্যাগ গ্রহণ করার সঙ্গে সঙ্গে তিনি আর কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সদস্য নন।
অরবিন্দ সাওয়ান্ত ভারী শিল্প মন্ত্রকের মন্ত্রী ছিলেন। মারাঠি ভাষায় টুইটে সাওয়ান্ত জানিয়েছেন, লোকসভা নির্বাচনের আগে ক্ষমতার একটা চুক্তিতে আমরা আবদ্ধ হয়েছিলাম। দুই পক্ষই এই চুক্তিতে সমর্থন জানিয়েছিল। সেই চুক্তি অনুযায়ী আমরা লোকসভা নির্বাচনে জয় লাভ করেছি। এখন সেই চুক্তিকে অস্বীকার করা হচ্ছে, যা শিবসেনার জন্য একটা বিরাট হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই বাধ্যহয়েই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। এরপরে তিনি মন্তব্য করেছেন, মহারাষ্ট্রে মিথ্যাকে আশ্রয় করে বিজেপি অনেক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এই মিথ্যার পরিবেশে শিবসেনার পক্ষে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় থাকা সম্ভব নয়। সেই কারণেই আমি কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করছি। প্রকাশ জাভদেকর পরবর্তীতে শিল্প মন্ত্রকের মন্ত্রী হতে চলেছেন।
সোমবার উদ্ধব ঠাকরে কে ফোনে সনিয়া গান্ধী জানিয়েছেন, কংগ্রেস শিবসেনাকে সমর্থন করবে। মনে করা হয়েছিল, এই ফোনের পরেই মহারাষ্ট্রের সরকার গঠনের মহানাটকের যবনিকা পড়বে। কিন্তু মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনে অন্য সমস্যা দেখা দিয়েছে। সরকার গঠনের জন্য শিবসেনার দাবি মেনে নিয়েছে মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল। তবে রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারি সরকার গঠনের জন্য শিবসেনাকে অতিরিক্ত সময় দিতে অস্বীকার করেন। আদিত্য ঠাকরে রাজ্যপালের বাসভবন থেকে বেরিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, এরপরেও তাঁরা সরকার গঠনের চেষ্টা চালিয়ে যাবেন।