সুখী দাম্পত্য জীবনের জন্য সঙ্গীর ভালো হওয়া প্রয়োজন। বলা হয় ভালো জীবনসঙ্গী জীবনে সুখ আনতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে, আপনি যদি জীবনসঙ্গী বেছে নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন, তবে আপনার কিছু বিশেষ বিষয় বিবেচনা করা উচিত।
বিয়ে প্রতিটি মানুষের জীবনে এক সুন্দু মুহূর্ত ও খুব বিশেষ। প্রত্যেকেই এমন একজন ব্যক্তিকে সঙ্গী হিসেবে পেতে চায় যে তাকে ভালবাসা দিতে পারে এবং তার যত্ন নিতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে সুখী দাম্পত্য জীবনের জন্য সঙ্গীর ভালো হওয়া প্রয়োজন। বলা হয় ভালো জীবনসঙ্গী জীবনে সুখ আনতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে, আপনি যদি জীবনসঙ্গী বেছে নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন, তবে আপনার কিছু বিশেষ বিষয় বিবেচনা করা উচিত।
মহান রাজনীতিবিদ ও কূটনীতিবিদ আচার্য চাণক্য শিশু চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যকে সমগ্র ভারতবর্ষের সম্রাট বানিয়েছিলেন। এমতাবস্থায়, তাঁর নীতিগুলি কেবল শাসনের জন্যই নয়, মানুষের জীবনেও অত্যন্ত সহায়ক বলে প্রমাণিত হয়। এমন পরিস্থিতিতে চাণক্য তাঁর নীতিশাস্ত্রে জীবনসঙ্গী বেছে নেওয়ার অনেক কথাই বলেছেন। আমাদের সেই নীতিগুলি সম্পর্কে জেনে রাখা প্রয়োজন যা আপনার জীবনকে সমস্যা মুক্ত করে তুলতে পারে।
১) এটা বিশ্বাস করা হয় যে আপনি যদি কোনও সুন্দরী মহিলার সঙ্গে জীবন কাটাতে চান তবে আপনাকে অনেক কিছু হারাতে হতে পারে এবং এমন পরিস্থিতিতে মহিলার গুণমান হওয়া আরও গুরুত্বপূর্ণ। চাণক্য বলেছেন যে জীবনসঙ্গী নির্বাচন করা উচিত তার পরিবার, গুণাবলী এবং চরিত্রের ভিত্তিতে, কেবল রূপ দেখে নয়।
আরও পড়ুন- মিথুন রাশির বিবাহ বিচ্ছেদের আশঙ্কা, মে মাসে কেমন কাটবে আপনার লাভ লাইফ
আরও পড়ুন- এই ৫ রাশির 'গোল্ডেন ডে' শুরু হবে ৫ দিন পর, চাকরি-বেতনে আসবে বড় পরিবর্তন
আরও পড়ুন-মোহিনী একাদশীতে ব্রত পালন রাজযোগের মতোই ফল দেয়, জানুন ব্রতের মুহুর্ত ও গুরুত্ব
২) মেয়েটি যতই কুৎসিত হোক না কেন, সে একজন শিক্ষিত এবং বুদ্ধিমান ব্যক্তির জন্য সেরা। তাই তার সমান ঘরের মেয়েকেই বিয়ে করা উচিত। চাণক্য বলেছেন যে একজন ব্যক্তির সর্বদা সমান মর্যাদা এবং গুণের মেয়েকে বিয়ে করা উচিত।
৩) চাণক্য বলেছেন যে রাগের কারণে যে কোনও পরিবার এবং সম্পর্ক শেষ হয়ে যেতে পারে। তাই বিয়ের আগে পত্নীর রাগ পরীক্ষা করা উচিত, পাছে পত্নীর রাগের কারণে পরে অনুতপ্ত হতে না হয়।
৪) ধর্ম ও কর্মে বিশ্বাসী ব্যক্তি সীমিত, এমন অবস্থায় বিয়ের আগেও জেনে নিতে হবে ধর্ম ও কর্মের ব্যাপারে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কতটা বিশ্বাস আছে। চাণক্যের মতে, পরিবারকে সঠিক দিক নির্দেশনা দিতে হলে ধর্ম ও কর্মে বিশ্বাস রাখতে হবে।