যে কোনও বিপদ থেকে রক্ষা করে এই মন্ত্র, জেনে নিন গায়ত্রী মন্ত্র জপের আশ্চর্যজনক উপকারীতা

  • গায়ত্রী একটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্র হিসাবে বিবেচিত হয়
  • এই মন্ত্রটি জপ করে ঈশ্বর প্রাপ্ত হয়
  • এই মন্ত্র ধ্যান বা পাঠে মুক্তি প্রাপ্ত হয়
  • এই মন্ত্রে দীক্ষিত হলে তিনি দ্বিজ নামে আখ্যাত হন

Asianet News Bangla | Published : Jan 30, 2021 8:00 AM IST / Updated: Jan 30 2021, 01:48 PM IST

হিন্দু বিধান অনুসারে, সকাল, দুপুর ও সন্ধ্যায় গায়ত্রী ধ্যান করতে হয় এবং এই মন্ত্র ধ্যান বা পাঠে মুক্তি প্রাপ্ত হয় বলে এর নাম ‘গায়ত্রী’। বেদজ্ঞ আচার্যের কাছে এই মন্ত্রে দীক্ষিত হলে তার পূণর্জন্ম হয় ও তিনি দ্বিজ নামে আখ্যাত হন।  সেই কারণে দ্বিজ অর্থাৎ ব্রাহ্মণগণের উপাস্য।গায়ত্রী একটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্র হিসাবে বিবেচিত হয়। বিশ্বাস করা হয় যে এই মন্ত্রটি জপ করে ঈশ্বর প্রাপ্ত হয়। গায়ত্রীর ধ্যানে আছে, তিনি সূর্যমণ্ডলের মধ্যস্থানে অবস্থানকারিনী, বিষ্ণু বা শিবরূপা, হংসস্থিতা বা গরুড়াসনা বা বৃষবাহনা। তিনি একাধারে ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও শিব। 

আরও পড়ুন- বাস্তু মতে এই একটি জিনিস বদলে দিতে পারে ভাগ্য, জেনে নিন এর বিশেষ গুরুত্ব 

যদি আপনি গায়ত্রী মন্ত্র জপ করতে চান তবে তা নিঃশব্দে বা মানসিকভাবে করা উচিত। মন্ত্র উচ্চারণ করা উচিত নয়। এই মন্ত্র জপ করার সঠিক সময় - গায়ত্রী মন্ত্র জপ করার প্রথম সময়টি সকাল। মন্ত্রটি সূর্যোদয়ের একটু আগে জপ শুরু করা উচিত এবং সূর্যোদয়ের পরে জপ করা উচিত। মন্ত্র জপ করার জন্য দ্বিতীয় সময় হল দুপুর। এই মন্ত্রটি জপ করা হয় বিকেলেও। তৃতীয় সময় হল সন্ধ্যা। সূর্যাস্তের আগে আপনার মন্ত্র জপ করা শুরু করা উচিত এবং সূর্যাস্তের কিছুক্ষণ পরে জপ করা উচিত। 

আরও পড়ুন- বাস্তু ত্রুটি দূর করতে ঘরে রাখুন এই ধাতব উপাদান, জেনে নিন সমৃদ্ধি বৃদ্ধিতে এর প্রভাব ...

গায়ত্রী মন্ত্র এবং এর অর্থ হল, আমাদের ঈশ্বরকে সেই প্রাণ, দুঃখ, আনন্দদায়ক, শ্রেষ্ঠ, গৌরবময়, পাপী, ঈশ্বরের মতো রূপ হিসাবে রাখা উচিত। ঈশ্বর আমাদের বুদ্ধি জীবন পথে অনুপ্রাণিত করে। বৈদিক গায়ত্রী মন্ত্রে আদলেই অন্যান্য দেবতার গায়ত্রী রচিত হয়েছে, দ্রষ্টব্য গণেশ, কালী, গুহ্যকালী, নারায়ণ, রাধা প্রভৃতি। মনে করা হয় এই মন্ত্র জপ করলে ১) উত্সাহ এবং ইতিবাচকতা বৃদ্ধি,  ২) মন ধর্ম এবং সেবার কাজে নিযুক্ত থাকে  ৩) ভবিষ্যদ্বাণী শুরু হয় ৪) প্রার্থণা করার শক্তি বৃদ্ধি পায়, ৫) স্বপ্ন সাধনা হয়, ৬) ক্রোধ শান্ত হয় ৭) মনকে কাবু করার ক্ষমতা তৈরি হয়।

Share this article
click me!