পশ্চীমবঙ্গ সহ উড়িষ্যা, আসাম সহ বিভিন্ন দেশে এই কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো করা হয়। বাংলা মাসের আশ্বিন মাসের শেষে পূর্ণিমা তিথিতে কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো হয়।
বাংলায় শারদীয়া দুর্গোৎসবের পর আশ্বিন মাসের শেষে পূর্ণিমা তিথিতে কোজাগরী লক্ষ্মী পুজোর আরাধনা করা হয়। বাঙালি হিন্দুর ঘরে ঘরে এ এক চিরন্তন প্রথা। হিন্দু শাস্ত্র মতে, লক্ষ্মী হলেন ধন সম্পত্তির দেবী। ধন সম্পদের আশায় এবং সংসারের মঙ্গল কামনায় ঘরে ঘরে কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো হয়ে থাকে। অনেকেই সারা বছর প্রতি বৃহস্পতিবার লক্ষ্মীর পুজো করে থাকেন। এছাড়া শস্য সম্পদের দেবী বলে ভাদ্র সংক্রান্তি, পৌষ সংক্রান্তি ও চৈত্র সংক্রান্তিতে এবং আশ্বিন পূর্ণিমা ও দীপাবলীতে লক্ষ্মীর পুজো হয়। লক্ষণীয় বিষয় হল-খারিফ শস্য ও রবি শস্য ঠিক যে সময় হয় ঠিক সেই সময় বাঙালি হিন্দু মেতে ওঠে লক্ষ্মীর আরাধনায়। তবে পুজোর উপাচারে পরিবর্তন হয় মাস ভেদে।
ধান, চাল , অন্ন , খাদ্যশস্য হল লক্ষ্মী দেবীর প্রতীক। তাই যারা খাদ্য অপচয় করেন , তাঁদের ওপর দেবী লক্ষ্মী কখনোই তুষ্ট হন না বলে মনে করেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। ধানক্ষেতের আশেপাশে ইঁদুর বা মূষিকের বাস এবং এরা ধানের ক্ষতি করে থাকে। পেঁচক বা পেঁচার আহার হল এই ইঁদুর। প্রাচীন রীতি অনুযায়ী গোলাঘরকে লক্ষ্মীর প্রতীক বলা হয়। পশ্চীমবঙ্গ সহ উড়িষ্যা, আসাম সহ বিভিন্ন দেশে এই কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো করা হয়। বাংলা মাসের আশ্বিন মাসের শেষে পূর্ণিমা তিথিতে কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো হয়।
আরও পড়ুন- বিজয়া দশমীতে মুখ মিষ্টি হোক দোকানের মত রসালো বাড়ির তৈরি রসমালাই দিয়ে
আরও পড়ুন- দোকানের স্বাদের নরম রসালো কালাকান্দ, পুজোয় এবার তৈরি হবে বাড়িতেই, দেখে নিন সহজ রেসিপি
ভারতীয় সময় অনুযায়ী, এই বছর লক্ষ্মীর পুজো পড়েছে দু'দিন। ১৯ অক্টোবর সন্ধ্যা ৭.০৩ মিনিট থেকে ২০ অক্টোবর রাত ৮.২৬ মিনিট পর্যন্ত পূর্ণিমা তিথি থাকবে।