সূর্য দেবতাকে তুষ্ট করলে সব কাজে মেলে সাফল্য। সকল সদস্যের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় থাকে সূর্য দেবতার কৃপা পেলে। তেমনই ব্যক্তির মান বৃদ্ধি পায় সূর্য দেবতার কৃপা পেলে।
হিন্দু শাস্ত্রে রয়েছে ১৩৩ কোটি শক্তির কথা। বিভিন্ন এই সকল শক্তির পুজোর জন্য আলাদা আলাদা সময় ও তিথির উল্লেখ আছে। সকল দেবতাদের জন্য আলাদা আলাদা তিথি ও দিন নির্দিষ্ট করা হয়েছে। তেমনই আছে একাধিক টোটকার হদিশ। জীবনের কোনও খারাপ সময় কাটাতে, কোনও কাজে উন্নতি পেতে কিংবা সম্পর্কে কোনও কলহ দূর করতে অনেকেই মেনে চলেন শাস্ত্র মত। শাস্ত্র সূর্য দেবতার এক আলাদা গুরুত্ব আছে। সূর্য দেবতাকে তুষ্ট করলে সব কাজে মেলে সাফল্য। সকল সদস্যের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় থাকে সূর্য দেবতার কৃপা পেলে। তেমনই ব্যক্তির মান বৃদ্ধি পায় সূর্য দেবতার কৃপা পেলে।
শাস্ত্র মতে, ব্রাক্ষ্মমুহূর্ত খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রাত ৩টে থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত হল ব্রাক্ষ্মমুহূর্ত। এই সময়ের মধ্যে সূর্যের প্রথম কিরণ এসে পৌঁছায়। শাস্ত্র মতে, এই সময় ধ্যান ও পুজো করুন। এটি উপযুক্ত সময়। এই সময় সূর্যের কিরণ যদি আপনার বাড়িতে প্রবেশ করে তাহলে তা অত্যন্ত শুভ। এতে জীবনের সকল জটিলতা দূর হয়। তেমনই পরিবারের সকলে শারীরিক সমস্যা থেকে মুক্তি পান। এক্ষেত্রে, বাড়ির প্রধান দরজা উত্তর পূর্ব দিকে থাকলে শুভ। কারণ এই সময় সূর্য বাড়ির উত্তর পূর্ব দিকে অবস্থান করে। আর আপনার ঠাকুর ঘর যদি হয় উত্তর পূর্ব দিকে, তাহলে তা অত্যন্ত শুভ মনে করা হয়। এতে সূর্যের প্রথম কিরণ আপনার ঠাকুর ঘরে প্রবেশ করবে।
তাই জীবনে উন্নতি ঘটাতে, যে কোনও সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে, আর্থিক জটিলতা সমাধানে, শারীরিক সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে রোজ ব্রক্ষ্মমূহূর্তে ধ্যান করুন। এই সময় দেবতার আরাধনা করুন। রোজ সকালে উঠে ৬টার মধ্যে পুজো সেরে ফেলুন মিলবে উপকার।
তেমনই নিয়মিত সূর্য দেবকে অর্ঘ্য দিন। এতেও পারিবারিক শান্তি বজায় থাকবে। শাস্ত্রে উল্লেখ আছে এই টোটকার। ঘরে নেতিবাচক শক্তি থাকলে পারিবারিক অশান্তি, কলহ, ঝামেলা লেগে থাকে। এক্ষেত্রে নিয়মিত সূর্য দেবকে অর্ঘ্য দিলে মিলবে উপকার। তেমনইশাস্ত্র মতে, ঘরে যদি তামার সূর্য রাখেন তাহলে দূর হবে পারিবারিক অশান্তি। সম্ভব হবে, বসার ঘরে রাখুন তামার সূর্য। এই জায়গায় পরিবারের সকলে এক সঙ্গে উপস্থিত হন। তাই এই স্থানে তামার সূর্য রাখা শুভ বলে মনে করা হয়।
আরও পড়ুন- পারিবারিক কলহ দূর করতে মোমবাতি লাগান, রইল এক বিশেষ বাস্তু টোটকার হদিশ
আরও পড়ুন- আশ্বিন মাসে এই কাজগুলি করবেন না, এর ফল খুব অশুভ বলে মনে করা হয়