প্রচলিত মত অনুসারে, মাঘ মাসের শুক্লপক্ষে অনুষ্ঠিত হয় এই উৎসব (Festival)। এই তিথি অনুসারে এবছর ১৩ ডিসেম্বর পালিত হবে গীতা জয়ন্তী (Gita Jayanti)।
কার্তিক-মাঘ মাস জুড়ে রয়েছে একের পর এক পুজো (Festival)। শুধু বাঙালিদের নয়, সব ধর্মের মানুষই এই সময় পালন করেন একাধিক ব্রত। কালই ছিল বিবাহ পঞ্চমী (Vivah Panchami)। পালিত হয়েছে রাজা রাম ও মাতা সীতার বিবাহবার্ষিকী উৎসব। তার আগে পালিত হয়েছে বিনায়ক চতুর্থী (Vinayak Chaturthi)। আর এবার পালা গীতা জয়ন্তীর। উত্তর ভারত ও নেপালে সারম্বরে পালিত হয় গীতা জয়ন্তী। প্রচলিত মত অনুসারে, মাঘ মাসের শুক্লপক্ষে অনুষ্ঠিত হয় এই উৎসব। এই তিথি অনুসারে এবছর ১৩ ডিসেম্বর পালিত হবে গীতা জয়ন্তী।
হিন্দুদের পবিত্র গ্রন্থ হল গীতা (Gita)। মাঘ মাসের শুক্লপক্ষের একাদশী তিথিতে পালিত হয় গীতা জয়ন্তী। কথিত আছে, আজ থেকে প্রায় ৫ হাজার বছর আগে এই তিথিতেই কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধক্ষেত্রে কৃষ্ণ (Sree Krisna) তাঁর ভক্তিমূলক সেবার গোপনীয় জ্ঞান তাঁর সবচেয়ে প্রিয় ভক্ত অর্জুনকে (Arjun) প্রদান করেছিলেন। যে জ্ঞান গীতায় বর্ণিত আছে। গীতায় বর্ণিত জ্ঞান প্রদান করেছিলেন বলে এই দিনটি গীতা জয়ন্তী হিসেবে পালিত হয়।
প্রায় ৫ হাজার বছর আগে খ্রিস্টপূর্ব ৩১৩৮ অব্দে কুরুক্ষেত্রে ১৮ দিন ধরে যুদ্ধ চলেছিল। এই যুদ্ধ হয়েছিল পাণ্ডব ও কৌরব শিবিরের মধ্যে। ধর্মের জয় ও অধর্মের বিনাশের লক্ষ্যে হয়েছিল কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ। যুদ্ধে শ্রী কৃষ্ণ ছিলেন অর্জুনের রথের সারথি। কথিত আছে, এই যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর ভগবান কৃষ্ণ (Lord Krisna) তার প্রিয় ভক্ত অর্জুনকে জীবনের আসল বাণী প্রদান করেন। যা বর্ণিত আছে ভগবত গীতায়। গীতায় মোট ১৮টি অধ্যায় আছে। যার সারমর্ম একজন ব্যক্তির সমগ্র জীবনের ব্যখ্যা করে।
আরও পড়ুন: Astro Tips: শুধু পুজো নয়, গুণ দেখেও আপনার ঘরে আসেন হন মা লক্ষ্মী
সেই থেকে প্রতিবছর শুক্লপক্ষের একাদশী তিথিতে গীতা জয়ন্তী পালিত হয়। এদিন সব জায়গায় ধর্মগ্রস্থ গীতা (Gita) পাঠ করা হয়। গীতা জয়ন্তী উপলক্ষে বৈষ্ণবভক্তগণ নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকেন। অনেক মন্দিরে যজ্ঞ করা হয়। এদিন গীতা পাঠ করা বা শোনা অত্যন্ত শুভ মনে করা হয়। কৃষ্ণর ভক্তরা এই পুজো বিশেষ ভাবে পালন করেন। সকালে স্নান সেরে নতুন পোশাক (New Clothes) পরে কৃষ্ণর আরাধনা করেন। তারপর গীতা পাঠ করেন ভক্তরা। এবছর ১৩ ডিসেম্বর রাত ৯.৩২ মিনিটে পড়ছে গীতা জয়ন্তী (Gita Jayanti) তিথি। আর ছাড়বে ১৪ ডিসেম্বর রাত ১১.৩৫ মিনিটে। এদিন সারাদিন ভগবান কৃষ্ণর পুজো করা হয়।