নিউইয়র্কে নিজের বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্টে খুন বাংলার তরুণ উদ্যোগপতি, উদ্ধার হল খণ্ড-বিখণ্ড দেহ

  • পাঠাওয়ের সহপ্রতিষ্ঠাতা ফাহিম সালেহের রহস্যজনক মৃত্যু
  • ম্যানহাটনে নিজের অভিজাত অ্যাপার্টমেন্টেই মিলল দেহ
  •  পুলিশ নিশ্চিত তাঁকে সুপরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে
  •  দেহ সরিয়ে ফেলার চেষ্টায় ছিল চতুর খুনি

Asianet News Bangla | Published : Jul 15, 2020 12:44 PM IST / Updated: Jul 15 2020, 06:17 PM IST

রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু হল বাংলাদেশের রাইড শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম `পাঠাও' সার্ভিসের সহপ্রতিষ্ঠাতা ফাহিম সালেহের। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৩টে নাগাদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক শহরের ম্যানহাটানের অ্যাপার্টমেন্ট থেকে পুলিশ তার খণ্ড-বিখণ্ড দেহ  উদ্ধার করে।

ম্যানহাটনের ইস্ট হাউস্টন স্ট্রিট ও সাফোক স্ট্রিট–সংলগ্ন ফাহিম সালেহর অভিজাত অ্যাপার্টমেন্টে তাঁকে সুপরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলেই জানাচ্ছে নিউইয়র্ক পুলিশ। বৈদ্যুতিক করাত দিয়ে ফাহিমের গলা ও শরীরের বিভিন্ন অংশ কেটে কয়েক টুকরা করা হয়। খণ্ডিত অংশগুলো পাশেই ব্যাগে ভরা ছিল।

আরও পড়ুন: বিশ্বের সবচেয়ে সস্তার কোভিড-১৯ টেস্টিং কিট তৈরি করল ভারত, আত্মপ্রকাশ করল 'করসিওর'

ফাহিম সালেহ গত বছর ম্যানহাটনের ডাউনটাউনে অভিজাত এলাকায় এই অ্যাপার্টমেন্ট কিনেন। খরচ পড়েছিল ২২ লাখ ডলার। আমেরিকায় মানুষ হলেও ফাহিমের সঙ্গে বাংলাদেশের রক্তের সম্পর্ক ছিল। ১৯৮৬ সালে জন্ম হয় এই তরুণ উদ্যোগপতির। তাঁর বাবা সালেহ উদ্দিন চট্টগ্রামের মানুষ। তিনি নিজেও আইবিএমের সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। আর  মা নোয়াখালীর মানুষ। ফাহিম পড়াশোনা করেছেন ইনফরমেশন সিস্টেম নিয়ে আমেরিকার বেন্টলি বিশ্ববিদ্যালয়ে। থাকতেন নিউইয়র্কের ম্যানহাটনে।

জানা যাচ্ছে করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে তিনি নিউইয়র্ক সিটির পাশে পোকিস্পিতে মা-বাবার সঙ্গে ছিলেন। কয়েকদিন আগেই নিজের অ্যাপার্টমেন্টে ফেরেন। নিউইয়র্ক পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে , আগের দিন থেকে ফাহিমের কোনো সন্ধান না পেয়ে তার ছোট বোন  ফাহিমের অ্যাপার্টমেন্টে ছুটে যান।  পরে তার ফোন পেয়ে সেখানে পুলিশ যায়।

আরও পড়ুন: প্রশাসনের বিরুদ্ধে ১৭টি রাজ্যের মামলা, বিদেশি শিক্ষার্থী তাড়ানোর সিদ্ধান্ত থেকে সরলেন ট্রাম্প

অ্যাপার্টমেন্টের সিসি ক্যামেরা থেকে দেখা গেছে, ১৩ জুলাই ফাহিম সালেহ সাত  তলায় তাঁর অ্যাপার্টমেন্টে যাওয়ার জন্য লিফটে উঠছিলেন। সেই সময় স্যুট পরিহিত, হাতে গ্লাভস ও মুখে মাস্ক পরা একজনকে তাঁর পেছনে যেতে দেখা গেছে। এর পরই হয়তো ফাহিমকে হত্যা করা হয়। ওই ব্যক্তিকে পেশাদার হত্যাকারী হিসেবে সন্দেহ করা হচ্ছে। সন্দেহজনক ব্যক্তিক হাতে একটি ব্রিফকেসও ছিল।

২০১৪ সালে নিউইয়র্ক থেকে ঢাকায় গিয়ে পাঠাও চালু করে নতুন প্রজন্মের উদ্যোক্তা হিসেবে খ্যাতি লাভ করেছিলেন এই তরুণ উদ্যোগপতি । ফাহিম নাইজেরিয়া ও কলম্বিয়ায় এমন আরও দুটি রাইড শেয়ারিং অ্যাপ কোম্পানির মালিক। ইন্দোনেশিয়াসহ আরও কয়েকটি দেশেও তিনি ব্যবসা বিস্তৃত করেছিলেন।

 

স্বল্পভাষী, হাস্যোজ্জ্বল, বন্ধুবৎসল ৩৩ বছরের ফাহিমের মৃত্যু সংবাদে বাংলাদেশের মতই আমেরিকার গোটা প্রবাসী মহল স্তম্ভিত। এই অল্প বয়সেই প্রায় ৫০ কোটি ডলার সম্পদের মালিক হয়েছিলেন তিনি।

Share this article
click me!