শনিবার দুপুরে চট্টোগ্রামের প্রেস ক্লাবে দূর্গাপুজোর সময় সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য মঞ্চ। সংগঠনের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে ঢাকার শাহবাগ চত্ত্বর ও চট্টোগ্রামের আন্দরকিল্লা চত্ত্বরও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করা হবে।
দূর্গাপুজোকে (Durga Puja) কেন্দ্র করে বাংলাদেশে (Bangladesh) যে অশান্তি তৈরি হয়েছিল তা এখনও অব্যাহত রয়েছে। সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনায় আক্রান্ত হয়েছে সেদেশের সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায় (Hindu Community)। এই ঘটনার প্রতিবাদে দেশজুড়ে অনশন কর্মসূচির (Hunger Strike) ডাক দিয়েছে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ। রবিবার বাংলাদেশের একটি গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে তেমনই বলা হয়েছে। আগামী ২৩ অক্টোবর সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত প্রায় ৬ঘণ্টা গোটা দেশে গণ অনশন ও গণঅবস্থান কর্মসূচি পালনের কথা ঘোষণা করেছে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ।
শনিবার দুপুরে চট্টোগ্রামের প্রেস ক্লাবে দূর্গাপুজোর সময় সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য মঞ্চ। সংগঠনের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে ঢাকার শাহবাগ চত্ত্বর ও চট্টোগ্রামের আন্দরকিল্লা চত্ত্বরও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করা হবে। পাশাপাশ দূর্গাপুজোর সময় হামলার ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিও করা হয়েছে। ফোরামের সভাপতি মিলন কান্তি দত্ত বলেন, সরকার যদি তাদের দাবি না মানে তাহলে আরও বড় আন্দোলন শুরু করবেন তাঁরা। একই সঙ্গে বাংলাদেশের প্রশাসনেরও তীব্র সমালোচনা করেছেন তারা। বলা হয়েছে, বাংলাদেশের স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী থেকে শুরু করে ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের প্রত্যেকেই তাদের আশ্বস্ত করেছেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত অপরাধীদের কেন গ্রেফতার করা হয়নি তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে ফোরাম।
অন্যদিকে দশমীর দিন বাংলাদেশের নোয়াখালির ইসকনের মন্দিরেও হামলার ঘটনা ঘটেছিল। একাদশীর দিন মন্দির লাগোয়া একটি পুকুর থেকে উদ্ধার হয়েছিল এক ভক্তের নিহর দেহ। বাংলাদেশের ইসকনের সাধারণ সম্পাদক চারুচন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী রীতিমত হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন , সরকার যদি মনে করে সেদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়র গোটা ঘটনা চুপ করে বসে দেখবে তাহলে তা ভুল হবে। তিনি আরও বলেন তাঁরা মনে করে মৌলবাদীরা ধর্মীয় সম্প্রতী নষ্ট করার জন্য এজাতীয় হিংসা আর বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে।
Madan Mitra: 'মাঠে হাত দিলে কবজি কেটে নেব', হুমকি তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রের
Bangladesh: বাংলাদেশের হিংসার ঘটনায় উদ্বেগ, ৩১ বুদ্ধিজীবির বিবৃতি প্রকাশ
Bangladesh: নোয়াখালিতে ইসকনের মন্দিরে হামলা, একদিন পরে পুকুর থেকে উদ্ধার ভক্তের দেহ
ফোরামের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে কড়া হাতে গোটা পরিস্থিতি মোকাবিলার আহ্বান জানান হয়েছে। পাশাপাশি সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার জন্য একটি আইন প্রনয়ণ করার দাবিও জানিয়েছে। একটি সংখ্যালঘু জাতীয় কমিশন গঠনেরও দাবি জানান হয়েছে। অন্যদিকে আওয়ামি লিগের পক্ষ থেকে শিক্ষকদের একটি সংগঠন দূর্গাপুজোয় হিংসার ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেছে।
অন্যদিকে শনিবার নতুন করে হামলার ঘটনা ঘটেছে রাজধানী ঢাকা থেকে প্রায় ১৫৭ কিলোমিটার দূরে ফেনীতে। সেখানে হিন্দুদের মালিকানাধীন মন্দির ও গোকানে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। ফেনীর ঘটনায় ফেণী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জসহ ৪০ জন আহত হয়েছে। স্থানীয় একটি সংবাদপত্রের প্রতিবেদনে শনিবার রাতের অন্ধকারে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। বেশ কিছু দোকানে লুঠপাট চালায় বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এই এলাকায় আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।