বড়পর্দায় খুব শীঘ্রই আসতে চলেছে অপরাজিতা। একঘেয়ে গল্প, রোম্যান্স থেকে একটু অন্য স্বাদের গল্প বলবে অপরাজিতা। বাবার সঙ্গে মেয়ের টানাপোড়েনের সম্পর্কের গল্প দেখানো হবে অপরাজিতায়। শেষমেশ বাবা ও মেয়ের সম্পর্কের পরিণতি ঠিক কোনদিকে এগোবে, এই নিয়েই ছবির গল্প।
একাধিক বাংলা সিনেমা আসতে চলেছে একইসঙ্গে। লকডাউনে বেশ কিছুদিন বন্ধ ছিল সমস্ত শুটিংয়ের কাজ । এমনকী ধারাবাহিকেও দীর্ঘদিন ধরে চলেছে শুট ফ্রম হোম চলেছে দীর্ঘদিন । যার জেরে খানিকটা মুখ থুবড়ে পড়েছে বেশ কিছু ধারাবাহিক। আর্টিস্ট ফোরাম, ফেডারেশনের তর্জা সব মিলিয়ে একের পর এক শুটিংয়ে বাধা। ফের জট কাটিয়ে নতুন করে শুরু হয়েছে সিরিয়াল-সিনেমার শুটিং। লকডাউনে ওটিট প্ল্যাটফর্মে বেশ খানিকটা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। তার দৌলতে প্রচুর সিনেমা মুক্তি পাচ্ছে।
আরও পড়ুন-পুলিশের হাত এল 'পর্নোগ্রাফি'র পান্ডা রাজের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট, খোঁজ মিলল পর্ন শুটের বাংলোর
বড়পর্দায় খুব শীঘ্রই আসতে চলেছে অপরাজিতা। একঘেয়ে গল্প, রোম্যান্স থেকে একটু অন্য স্বাদের গল্প বলবে অপরাজিতা। বাবার সঙ্গে মেয়ের টানাপোড়েনের সম্পর্কের গল্প দেখানো হবে অপরাজিতায়। যেখানে একই বাড়িতে থেকেও বাবা ও মেয়ে একে অপরের সঙ্গে কথা বলে না।
কোথাও না কোথাও তাদের দুজনের মধ্যেই ইগো কাজ করে এবং তার পেছনেও রয়েছে যুক্তিসঙ্গত কিছু কারণ। তবে দুজনের মধ্যে যে একদমই যোগাযোগ নেই তা বললে ভুল। যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে রয়েছে শুধুমাত্র একটি ডায়েরি, যার মাধ্যমে বাবা ও মেয়ের যোগাযোগ রয়েছে। যদিও আগে এই ডায়েরির প্রচলন থাকলেও আজকাল এই চল প্রায় অবলুপ্ত।
অপরাজিতা একজন স্বাধীনচেতা মহিলা। যিনি একটি কর্পোরেট কোম্পানিতে কাজ করে । এবং খুব স্বাভাবিক ভাবেই অন্যদের মতো তারও একজন বয়ফ্রেন্ড আছ। যার নাম সাহেব। নিজের মনের মানুষ সাহেবের কাছে সে তার রাগ , দুঃখ , অভিমান দেখাতে পারে। অপরাজিতার বড় দিদি ইউএসএ-তে থাকেন।
অপরাজিতার প্রেমিক ও তার দিদি হাজার চেষ্টা করেও বাবা ও মেয়ের সম্পর্ক ঠিক করতে পারেনা। ছবিতে অপরাজিতার চরিত্রে অভিনয় করবেন অভিনেত্রী তুহিনা দাস। এবং বাবার চরিত্রে দেখা যাবে শান্তিলাল মুখোপাধ্যায়কে। অপরাজিতার প্রেমিকের চরিত্রে দেখা যাবে দেবতনুকে। এবংপারিবারিক ডাক্তারের চরিত্রে দেখা যাবে রানা বসু ঠাকুরকে। এবং দিদির চরিত্রে দেখা যাবে অমৃতা দে-কে।
অপরাজিতার পারিবারিক ডাক্তারও এই প্রজন্মের সামাজিক আর পারস্পরিক দূরত্বের বিষয়টি তুলে ধরবেন সকলের সামনে। কিন্তু গল্প যত এগোয় ততই যেন বাবা-মেয়ের সম্পর্ক জটিল হয়ে উঠতে থাকে।পরিচালক রোহান সেনের এই ছবিতে হৃদয়স্পর্শী কাহিনি তুলে ধরা হয়েছে, যা বাস্তবেও অনেকের জীবনে ঘটে থাকে। তবে শেষমেশ বাবা ও মেয়ের সম্পর্কের পরিণতি ঠিক কোনদিকে এগোবে, এই নিয়েই ছবির গল্প।