সত্যি নাকি? টলিউড বলছে, বিয়ের খবরের সত্যতায় সিলমোহর নেই। তবে মৃণাল সেনের ‘মৃগয়া’র জুটি ৪৬ বছর পরে সত্যিই আবার এক জোট হচ্ছেন।
টলিউডে ফিসফাস, মিঠুন চক্রবর্তী-মমতা শঙ্কর নাকি সাতপাকে বাঁধা পড়বেন এই ডিসেম্বরে! সল্টলেকের একটি বাড়িতে তাঁদের এক সঙ্গে দেখাও গিয়েছে। উপস্থিত ছিলেন দেব অধিকারী, অতনু রায়চৌধুরীও। তাঁরাই নাকি নিয়ে উদ্যোগ নিয়ে ঘটকালি করছেন। মিঠুন-মমতাকে এক জোট করার নেপথ্যেও নাকি তাঁরাই। একে একে তাঁদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন পরিচালক অভিজিৎ সেন। অম্বরীশ ভট্টাচার্য, কণীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিশ্বনাথ বসু এবং শ্বেতা ভট্টাচার্য। সবার উপস্থিতিতে বসন্তে নয়, ভরা শীতে ২৩ ডিসেম্বর উড়বে বিয়ের ‘প্রজাপতি’!
সত্যি নাকি? টলিউড বলছে, বিয়ের খবরের সত্যতায় সিলমোহর নেই। তবে মৃণাল সেনের ‘মৃগয়া’র ‘ঘিনুয়া’, ‘ডুংরি’ রুপোলি পর্দায় ৪৬ বছর পরে সত্যিই আবার এক জোট হচ্ছেন। অভিজিৎ সেনের নতুন ছবি ‘প্রজাপতি’তে। টনিক-এর পরে ফের দেব-অভিজিৎ-অতনু এক। ত্রয়ীর নতুন নিবেদনে পেশা বদলেছেন সাংসাদ-তারকাও! আগের ছবিতে তিনি ট্যুরিস্ট গাইড ছিলেন। এ বার ঘটক! দেবের ছবি মানেই পরতে পরতে চমক। ছবির প্রচার থেকে ভাবনা— সবেতেই। এ বারেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। ছবির প্রথম পোস্টার প্রকাশের দিন হিসেবে তিনি ভাইফোঁটার মতো বিশেষ দিনকে বেছে নিয়েছিলেন। উৎসব ভুলে এ দিনও সংবাদমাধ্যম ভিড় জমিয়েছিল নন্দন চত্বরে। দেব পা রাখতেই মানুষের বানভাসি। কালো কালো মাথার ব্যারিকেডে বন্দি বাংলার সুপারস্টার।
এ দিন দেবকে সঙ্গে দিতে পরিচালক, প্রযোজক তো ছিলেনই। ছিলেন মমতা শঙ্কর, কণীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, শ্বেতা ভট্টাতার্য, বিশ্বনাথ বসু। পোস্টার প্রকাশ করতে করতেই দেবের রসিকতা, ‘‘আমাদের সামান্য পুঁজি। তার মোটা অংশ নিয়ে নিয়েছে কণীনিকা, শ্বেতা, বিশ্বনাথরা। বাকি যা আছে সেই ভাঙিয়েই চলতে হচ্ছে। তাই আজ মিঠুনদাকে আনতে পারলাম না। ঠিক করেছি, মূল প্রচারের দিনে নিয়ে আসব!’’ যদিও এ দিন পোস্টারজুড়ে শুধুই দেব আর মিঠুন। বাবাকে এক জন ছেলে যেমন আদরে-যত্নে জড়িয়ে থাকেন ঠিক সেই ভঙ্গিতে ‘মহাগুরু’কে আলিঙ্গনে বেঁধেছেন ‘মহা’দেব! ছবির গান নিয়েও অন্যতম প্রযোজকের দাবি, ‘‘ছবির গান যদি ভাল না লাগে তা হলে প্রচার করাই ছেড়ে দেব!’’
এ তো গেল প্রযোজক দেবের বক্তব্য। তাঁর সহ-অভিনেতারা কী বলছেন? মিঠুনের মত জানার উপায় নেই। মমতার কথায়, সেটে তিনি প্রচণ্ড ভয়ে থাকতেন। একটা দৃশ্য যত বার নেওয়া হত তত বার দেব এক এক ভাবে অভিনয় করতেন। ফলে, পর্দার ‘ডুংরি’র সারা ক্ষণের শঙ্কা, তিনি তাল মেলাতে পারবেন তো? কণীনিকার দাবি, পর্দায় তিনি মিঠুনের মেয়ে। বাস্তবেও নাকি তাঁকে রীতিমতো প্রশ্রয় দিতেন মিঠুন। তাঁকে মুগ্ধ করেছে মিঠুন-মমতা যুগলবন্দি। অভিনেত্রীর কথায়, ‘‘কী সেটে, কী অবসরে— ওঁদের বন্ধুত্ব দেখার মতো। ৪৬ বছরেও এই সম্পর্কে কোন টাল পড়েনি!’’ একই কথা শ্বেতারও। ছোট পর্দার ‘যমুনা ঢাকি’ ফের নতুন রূপে বড় পর্দায় ফিরতে চলেছেন। আপ্লুত অভিনেত্রীর মতে, ‘‘মাঝে বড় পর্দায় অভিনয়ের স্মৃতি আজীবন মনে থেকে যাবে। বিশেষ করে মিঠুন আঙ্কেলের সঙ্গে কাজ। কী যেন ভাল! কোনও শট ভাল লাগলে ডেকে ডেকে প্রশংসা করতেন।’’
আরও পড়ুন-নগ্ন হয়ে সঙ্গমের দৃশ্যে পর্দায় ঝড়,কতটা সাহসী হতে হয়েছিল করিনাকে জানেন?
আরও পড়ুন-অর্ধনগ্ন শরীরে যৌনতায় ঝড় তুলতে গিয়ে আইনি জটে জড়ালেন উরফি, অভিযোগ দায়ের পুলিশে