- Home
- Entertainment
- Bollywood
- সহবাস করতে হবে বন্ধুর সঙ্গে, শরীরের দর হাঁকিয়েছিলেন স্বামী, ভয়ঙ্কর দিনের স্মৃতিচারণায় করিশ্মা
সহবাস করতে হবে বন্ধুর সঙ্গে, শরীরের দর হাঁকিয়েছিলেন স্বামী, ভয়ঙ্কর দিনের স্মৃতিচারণায় করিশ্মা
- FB
- TW
- Linkdin
রণধীর কাপুর ও ববিতা কাপুরের বড় মেয়ে করিশ্মার ব্যক্তিগত জীবনটা মোটেই সুখকর নয়। তা সকলেই জানেন। কেরিয়ার তখন মধ্যগগণে। একের পর এক হিট ছবি তখন করিশ্মার ঝুলিতে। নব্বইয়ের দশকে কেরিয়ার সাফল্যে রীতিমতো তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন করিশ্মা কাপুর।
তবে ব্যক্তিগত জীবনটা ততটাই কষ্টের। ব্যবসায়ী সঞ্জয় কাপুরকে বিয়ে করেন করিশ্মা। বন্ধুদের সঙ্গে নিয়েই মধুচন্দ্রিমাতে গিয়েছিলেন সঞ্জয় কাপুর ।প্রথম মধুচন্দ্রিমাতেই তিনি বুঝে গেছিলেন এই সম্পর্কের পরিণতি।
মধুচন্দ্রিমাতে গিয়ে এক রাতের জন্য করিশ্মাকে নিলামে তুলেছিলেন স্বামী সঞ্জয় । রীতিমতো শরীর নিয়ে চলেছিল দর কষাকষি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বিবাহিত জীবনের অন্ধকার দিক তুলে ধরলেন করিশ্মা কাপুর।
নিজের চেয়ে বয়সে ২ বছরের ছোট অভিষেকের সঙ্গে চুটিয়ে প্রেম করছিবেন করিশ্মা। অভিষেক তখনও বলিউডে প্রতিষ্ঠিত হয়নি সেভাবে। করিশ্মা কাপুর ও অভিষেক বচ্চনের প্রেম একসময়কার বলিউডে সবথেকে চর্চিত বিষয় ছিল। ঠিক উল্টোটাই ছিল করিশ্মার ক্ষেত্রে। বলিউডে একের পর এক হিট ছবির নায়িকা তখন করিশ্মা। তখন থেকেই করিশ্মার সম্পর্ক অভিষেকের সম্পর্ক নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠতে থাকে।
বচ্চন পরিবারও ছেলের পছন্দে খুবই খুশি ছিলেন। অমিতাভের ৬০ তম জন্মদিন উপলক্ষে একটি বই প্রকাশিত হয়েছিল। সেখানেই সকলের সামনে জয়া বচ্চন পূত্রবধূ হিসেবে তার ছেলের পছন্দকেই মেনে নিয়েছিলেন। জয়া বচ্চন জানিয়েছিলেন, বচ্চন পরিবার নিজেদের সঙ্গে কাপুর পরিবারকেও মন থেকে মেন নিয়েছে। এবং জয়া আরও বলেছিলেন বচ্চন পরিবারের ভবিষ্যতের পূত্রবধূ হল করিশ্মা কাপুর।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাদের সম্পর্ক পরিণতি পায়নি। যার নেপথ্যে ছিলেন কাপুর পরিবারের বিশেষএকজন । তিনি হলেন করিশ্মার মা ববিতা কাপুর। মা ববিতার কারণেই করিশ্মার সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে গিয়েছিল করিশ্মার। ববিতাই তাদের সম্পর্ক নিয়ে হাজারো প্রশ্ন তুলেছিলেন। অভিষেক তার মেয়ের যত্ন নিতে পারবেন কিনা, অভিষেকের কেরিয়ার, রোজগার-এ সব কিছু নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ববিতা। এই নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে বিস্তর আলোচনা হলেও ববিতা কিছুতেই রাজি হচ্ছিলেন না। তারপর বচ্চন পরিবারকে একটি শর্ত দেন ববিতা। ববিতা অমিতাভের সমস্ত সম্পত্তি অভিষেক ও করিশ্মার নামে লিখে দিতে বলেন। যাতে করিশ্মার ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত থাকে। ববিতার শর্তে রাজি হননি অমিতাভ। তারপরই তাদের সম্পর্ক সেখানেই থেমে যায়। তারপরেই করিশ্মা ব্যবসায়ী সঞ্জয় কাপুরকে বিয়ে করেন এবং অভিষেকও ঐশ্বর্যর সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
করিশ্মার প্রবল আপত্তি জানিয়ে প্রতিবাদ করলেই শুরু হয়ে যায় বচসা। এমন দিনও দেখতে হবে তা যেন ভাবতেই পারেননি লোলো। শেষমেষ স্বামীর জোর করে বাধ্য করে অন্যের শয্য়াসঙ্গী হতে। মধুচন্দ্রিমা থেকেই শুরু। তারপরই শারীরিক ও মানসিক নিগ্রহের শিকার হয়েছিলেন করিশ্মা। ২০১৩ সালে সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা করেন করিশ্মা। করিশ্মা জানান, নিজের এক বন্ধুর সঙ্গে সহবাসের জন্য জোর করেছিলেন সঞ্জয়। এমনকী করিশ্মার সঙ্গে সহবাসের দামও হাঁকিয়েছিলেন স্বামী। রাজি না হওয়ায় বেদম মারধরও জুটেছিল। দিনের পর দিন অকথ্য অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে শেষমেষ ২০১৬ সালে ডিভোর্স দেন সঞ্জয়কে।
একটা সময়ে আদালতে করিশ্মার জবানিতে এমন কিছু তথ্য উঠে এসেছিল যা নাড়িয়ে দিয়েছিল বলিউডকে। অন্তঃসত্ত্বাকালীনও জুটেছিল চড়, থাপ্পড়, মারধর, করিশ্মার গার্হস্থ্য হিংসার শিউরে ওঠা কাহিনি যেন হার মানাবে বলিউডের চিত্রনাট্যকে। করিশ্মা জানিয়েছিলেন, অন্তঃসত্ত্বাকালীনও সঞ্জয় তার গায়ে হাত তুলতে বলেছিলেন যার কারণও খোলসা করে বলেছিলেন নায়িকা। একবার সঞ্জের মা করিশ্মার জন্য একটি পোশাক কিনে এনেছিলেন। তবে প্রেগন্যান্ট থাকার জন্য সেই পোশাক আমার গায়ে আঁটছিল না। সেই অপরাধে সঞ্জয় ওর মা-কে আমায় মারার কথা বলেছিল।
করিশ্মার অভিযোগ থেকে আরও জানা যায়, করিশ্মাকে বিয়ের পরও প্রাক্তন স্ত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক চালিয়ে গেছেন সঞ্জয়। এমনকী ছেলের একাধিক সম্পর্কের কথা পুরোটাই জানতেন মা, তবে জানাই শুধু নয়, পুরো বিষয়টা মেনেও নিয়েছিলেন করিশ্মার শাশুড়ি মা। ২০০৩ সালে মহা ধুমধাম করে পেশায় ব্যবসায়ী সঞ্জয়কে বিয়ে করেন করিশ্মা। দুই সন্তান সামাইরা ও কিয়ানের জন্মের পর ২০১৪ সালে বিবাহ বিচ্ছেদ মামলা। তারপরই পারিবারিক নির্যাতনের ভয়ঙ্কর চিত্র সকলের সামনে তুলে ধরেন করিশ্মা কাপুর।