কখনও ট্রোল কখনও আবার মিম, পাশে থাকা তো দূরের কথা, সমাজ সমালোচনা করতেই ছিল বেশি ব্যস্ত। সিঙ্গল মাদার, এই বিষয়টা এখনও পর্যন্ত সমাজের কাছে সহজ হয় ওঠেনি। অথচ নুসরতের লড়াইটার সাক্ষী থেকেছেন অনেকেই।
নুসরত জাহান, গত কয়েকমাসে এই নামটার সঙ্গে জড়িয়ে থাকা নানান না বলা গল্পেরা জড়িয়ে রয়েছে। জড়িয়ে রয়েছে এক মেয়ের জীবন আমুল বদলের কাহিনি। যা ওপর থেকে দেখে গল্প বুনেছে অনেকেই। কখনও ট্রোল কখনও আবার মিম, পাশে থাকা তো দূরের কথা, সমাজ সমালোচনা করতেই ছিল বেশি ব্যস্ত। সিঙ্গল মাদার, এই বিষয়টা এখনও পর্যন্ত সমাজের কাছে সহজ হয় ওঠেনি। অথচ নুসরতের লড়াইটার সাক্ষী থেকেছেন অনেকেই।
বুধবার রাতেই জীবনের এক নতুন অধ্যায় শুরু করার আশা নিয়ে একাই বাড়ি থেকে বেরিয়েছেন নুসরত। যা নিরবে লক্ষ্য করেছেন পরিচালক রাজর্ষি। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটা সম্পূর্ণ প্লটের আকারেই তা তিনি লিখে গেলেন। ‘একটা কথা বলতে বড়ো আনন্দ হচ্ছে। জানি এটা নিয়ে পরে গালাগাল দেবেন অনেকে কিন্তু তবুও বলব। আমার এই প্রিয় শহরে যেখানে মাঝে মাঝে চাঁদটাকে এতো কাছ থেকে দেখা যায়, মনে হয় এই বুঝি উবের ধরে পৌঁছে যাওয়া যাবে .. সেই শহরের এক যুবতী , অভিনেত্রী, এমপি এবং সংখ্যালঘু আজ একা ফ্ল্যাট থেকে নিছে নামলেন ,একা এসইউভির সামনের সিটে বসলেন এবং রওনা হলেন মা হবেন বলে , একা.. সব ট্রোল , মিম এর আজ হয়তো অবসান হবে.. আমার কাছে অনেকদিন পর একটা বড়ো অকাল বোধন এর গপ্পো এল.. এই মহিলার হাত ধরে।
আরও পড়ুন- যশের সঙ্গে হাসপাতালে হবু মা নুসরত জাহান, নিখিলের সোশ্যাল মিডিয়ায় 'তুমি আমার হৃদয়ের মণি'
তিনি আরও লেখেন- 'নুসরত আমার সঙ্গে আপনার একবারই দেখা হয়েছিল, কিন্তু আজ এটুকু বলি যে ছেলে হোক বা মেয়ে সে কিন্তু বড়ো হয়ে আজকের দিনের গপ্পোটা শুনে গর্ব করে বলবে “মেরে পাস মা হ্যায়..” সব ভালো হোক, শিগগিরই দেখা হচ্ছে ..।’বৃহস্পতিবারই হয়তো মিলবে সুখবর, হয়তো এই বিশেষ দিনেই পাল্টে যাবে সোশ্যাল মিডিয়ার ট্রোলগুলি, ভরে উঠবে সোশ্যাল পাতা শুভেচ্ছা বার্তায়, তবুও প্রশ্নেরা কি পিছু ছাড়বে! তার উত্তর সময়ই দেবে।